বাম-কংগ্রেস সরকার গড়লেই অধিকার ফিরে পাবেন মানুষ দমদমে বিরাট মিছিলে সুজন চক্রবর্তী
-
-
- Nov 22, 2020 11:02 [IST]
- Last Update: Nov 22, 2020 11:02 [IST]
বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের যৌথ সরকার পৌরসভা, পঞ্চায়েতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনবে। রাজ্যে সাড়ে পাঁচ লক্ষ শূন্য পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করবে। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে মানুষের সম্মান ফিরিয়ে দেবে। শনিবার দমদমে স্পষ্ট ভাষায় একথা ঘোষণা করেন রাজ্য বিধানসভায় বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, মানুষের অধিকার ফিরে পেতে লড়াই,আন্দোলন ছাড়া অন্য কোনও বিকল্প নেই। তাই ২৬নভেম্বর সর্বাত্মক সাধারণ ধর্মঘটের মাধ্যমে এই আন্দোলন আরও ঐক্যবদ্ধ, আরও জোরালো করে তুলতে হবে। এদিন দক্ষিণ দমদমে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের উদ্যোগে পাতিপুকুর থেকে সুবিশাল মিছিল হয়। মিছিল শেষে দমদম স্টেশনের কাছে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখছিলেন চক্রবর্তী।
এদিনের সুসজ্জিত মিছিল থেকে ২৬নভেম্বর কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশনগুলির ডাকা ধর্মঘট সফল করার আহবান জানানো হয়। মিছিল শুরু হয় পাতিপুকুর রেল ব্রিজ সংলগ্ন যশোর রোড থেকে। যশোর রোড ধরে নাগেরবাজার মোড় হয়ে দমদম রোড দিয়ে মিছিল এসে শেষ হয় দমদম স্টেশন সংলগ্ন অঞ্চলে। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করে পথচলতি মানুষের কাছে ধর্মঘটের দাবিগুলি তুলে ধরা হয়। মিছিল শেষে সভায় সুজন চক্রবর্তী বলেন, শ্রম আইন, কৃষি আইন, নয়া শিক্ষানীতির মতো একের পর এক জনবিরোধী নীতি প্রয়োগ করে দেশের মানুষের দুর্দশা বাড়াচ্ছে মোদী সরকার। রাষ্ট্রের দায়িত্ব দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানো, কিন্তু বিজেপি সরকার কর্পোরেটের স্বার্থে মানুষের সর্বনাশ করছে। করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের নীতিতে প্রায় ২০কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন। পরিযায়ী শ্রমিকের দুর্দশা বহুগুণ বেড়েছে। তবু সরকারের কোনও মাথাব্যথা নেই। গরিব পরিবারে আগামী ছ’মাসে সাড়ে সাত হাজার টাকা করে দেওয়া, রেগায় দু’শো দিনের কাজের ব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাঁচানোর মতো জনহিতকর দাবিগুলিতে কান দিতে চইছে না কেন্দ্র। তাই ২৬তারিখে প্রতিবাদী ধর্মঘট। আর এই ধর্মঘট নিয়ে নবান্ন চুপ। তৃণমূল গরিব মানুষের পক্ষে কিনা বোঝা যাবে ধর্মঘটের দিনে। তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী তথা দমদমের বিধায়ক তাঁদের নেত্রীকে নেতাজীর সঙ্গে তুলনা করে বাংলার মানুষকে অসম্মান করছেন, রাজ্যের সংস্কৃতির ঐতিহ্য কলঙ্কিত করছেন। এসবের জবাব বাংলার মানুষই দেবে। তার প্রস্তুতি চলছে। তৃণমূল পরাস্ত হবে, বিজেপি’কে মানুষ বিশ্বাস করছে না। বাম ও কংগ্রেসের যৌথ আন্দোলনের প্রতি মানুষের ভরসা, আস্থা বাড়ছে।
এদিন পলাশ দাশ বলেন, সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকায় আঘাতের জবাব দেওয়ার লড়াই শুরু হয়েছে। এবারের ধর্মঘটে তার প্রমাণ পাবে সরকার। সভায় কংগ্রেস নেতা সুজিত দেব বক্তব্য রাখেন। মিছিলে ময়ূখ বিশ্বাস, মিহির পাল, প্রবোধ মণ্ডল, জহর ঘোষাল, কাজল গুহ, সোমা চক্রবর্তী, দেবশঙ্কর রায়চৌধুরি, সৌরভ চক্রবর্তী, রানা রায় প্রমুখ বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ এবং শুভঙ্কর সরকার, তাপস মজুমদার প্রমুখ কংগ্রেস নেতারা উপস্থিত ছিলেন।