সংঘর্ষ বিরতিকে স্বাগত জানিয়ে শর্ত ইমরানের
-
-
- Feb 28, 2021 11:27 [IST]
- Last Update: Feb 28, 2021 03:00 [IST]
সংঘর্ষ বিরতির চুক্তিকে স্বাগত জানালেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ভারতের ওপরই চাপিয়েছেন তিনি।
নিয়ন্ত্রণরেখা এবং অন্য সেক্টরগুলিতে সংঘর্ষ বিরতির যৌথ ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেছে ভারত এবং পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস (ডিজিএমও)। শনিবার ইমরান খান বলেছেন, ‘‘সংঘর্ষ বিরতির ঘোষণা স্বাগত। তবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উন্নতির দিকে এগনোর মতো পরিবেশ তৈরির দায়িত্ব ভারতের।’’ ইমরানের সংযোজন, ‘‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী কাশ্মীরের মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রশ্নটির মীমাংসা করতে পদক্ষেপ নিতে হবে ভারতকে।’’
ভারতের অবস্থান, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে পাকিস্তানের মতো জানানোর সুযোগ নেই। সন্ত্রাস এবং আলোচনা প্রক্রিয়া একসঙ্গে চলতে পারে না। নিজেদের মাটিতে সীমান্তপার সন্ত্রাসের ঘাঁটি ভাঙতে হবে পাকিস্তানকে। উল্লেখ্য, ২০১৬-তে পাঠানকোটে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে হামলা হয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী হামলায় মদত দেওয়ার অভিযোগ তোলে ভারত। পরে উরিতেও হামলা হয়। দু’দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। এই অবস্থায় দু’দেশের বিভিন্ন অংশ সংঘর্ষ বিরতির ঘোষণাকে ইতিবাচক বলে বর্ণনা করেছে।
শনিবার ভারতীয় সেনার উত্তর অংশের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ওয়াই কে যোশীও সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ তুলেছেন। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ সীমান্তের দায়িত্বেও রয়েছে এই বাহিনী। জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরে সেনার অনুষ্ঠানে এদিন ভাষণ দেন যোশী। তিনি বলেন, ‘‘সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে কার্যকর হয়েছে। তার মানে এই নয় যে ভারতের মাটিতে সন্ত্রাসদমন সক্রিয়তা বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা সতর্কতা পুরোদমে বজায় রাখব।’’ গত বৃহস্পতিবার যৌথ ঘোষণাপত্র প্রকাশের দিনও সেনা সূত্র থেকে এই মনোভাব জানানো হয়েছিল। —পিটিআই