ভিলেজ পুলিশের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে সোমবার সকালে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় কালনার সহজপুর এলাকায়। মৃত ভিলেজ পুলিশ দেবাশিষ বারিকের (৩১) বাড়ি কালনা -১ ব্লকের কাকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ভগবতীতলা গ্রামে। কালনা থানার পুলিশ এদিন মৃতদেহ উদ্ধার করে কালনা মহকুমা হাসপাতাল পাঠায় ময়না তদন্তের জন্য। কিন্তু সেখান থেকে মৃতদেহ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। কালনা থানার অন্তর্গত বুলবুলিতলা পুলিশ ফাঁড়ির অধীনে কাকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তিনি কর্মরত ছিলেন। রোজকার মতো রবিবার সন্ধ্যার পর বাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। রাত্রি দশটা নাগাদ তার স্ত্রীর মোবাইলে একটি ফোন আসে। তাতে নাকি দেবাশিষ বারিক বলেন, আমার মেয়েটাকে দেখো। এ পৃথিবীতে আমি আর থাকতে চাই না। তারপরেই ফোন কেটে দেওয়ার পর দেবাশিষ বাবুর ফোনটি সুইচ অফ হয়ে যায়। ঘটনাটি বুলবুলিতলা পুলিশ ফাঁড়িকে জানালে পুলিশ এবং আত্মীয়-স্বজনরা সারা রাত্রি তার সন্ধান চালায়। কিন্তু তার সন্ধান মেলেনি। শেষে সোমবার সকালে সহজপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাছে তার মৃতদেহ অর্ধ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। তার ব্যবহারের বাইকটি মৃতদেহের কাছেই খড়ের কুটি চাপা অবস্থায় পাওয়া যায়। মৃতদেহ এবং বাইকের অবস্থান দেখে মানুষ সন্দেহ করতে থাকে, তাকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্ত কালনা হাসপাতালে না করিয়ে বর্ধমানে মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।