অন্যকথা / মুক্তধারা 

পৃথিবীর প্রথম প্রকৃত বিজ্ঞানী
তপন কুমার বৈরাগ্য
 

প্রথম প্রকৃত বিজ্ঞানী ছিলেন অ্যারিস্টটল। তার বিখ্যাত গ্রন্থ পলিটিক্স তিনি ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান,প্রাণীবিদ্যা ও জীববিদ্যার
জনক।তিনিই প্রথম বলেছিলেন মানুষ হলো সামাজিক জীব। তার মতন পন্ডিত মানুষ পৃথিবীতে খুব কমই জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ৩৮৪খ্রিস্টপূর্বাব্দে ৭ইমার্চ গ্রীসের স্ট্যাগিরাসে জন্মগ্রহণ করেন।মারা যান ৩২২খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রীসের চ্যানাচিসে।এমন কিছু
বিষয় নেই যার উপর তিনি বই লেখেন নি।যেমন পদার্থবিদ্যা, জীববিদ্যা,প্রাণীবিদ্যা,অধিবিদ্যা,যুক্তিবিদ্যা,নীতিশাস্ত্র,নন্দনতত্ব,
কবিতা,নাটক,সংগীত ,ভাষাতত্ত্ব,অর্থশাস্ত্র,রাজনীতি এবং আরও অনেক বিষয়ে।বিশ্বজগতের প্রাকৃতিক ব্যাখ্যা তিনিই প্রথম
দিয়েছিলেন।৫০বছর বয়েসে তিনি নিজের হাতে লাইসিয়াম বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।৬২বছরের জীবনে তিনি যা করে গেছেন
একজন ব্যক্তি হাজার বছরেও তা করতে পারেন না।তিনি প্লেটোর ছাত্র ছিলেন।অ্যারিস্টটলীয় দার্শনিক ঐতিহ্যের তিনি প্রতিষ্ঠাতা
ছিলেন।গ্রীক বীর আলেকজান্ডারের তিনি শিক্ষাগুরু ছিলেন।
 

তিনিই প্রথম প্রকৃতিকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখেন। প্রকৃতির রহস্যগুলো তিনি একে একে উন্মোচন করেন। গ্রীসে যে তিনজন দার্শনিক জন্ম গ্রহণ করেন তারা হলেন অ্যারিস্টটল,প্লেটো এবং সক্রেটিস।তিনিই প্রথম প্রাকৃতিক বিশ্ব যেমন জীব,পদার্থ ,মহাবিশ্ব নিয়ে পর্যবেক্ষণ চালান এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাকৃতিক
নিয়মগুলো তুলে ধরেন। তাকে  প্রাণীবিজ্ঞানেরও জনক বলা হয়। তিনি তার কৌতূহলী জিজ্ঞাসা থেকে অজানাকে জানবার তীব্র ইচ্ছা প্রকাশ করেন।তিনি প্রয়োগ করেছেন তার সহজাত বিচারবুদ্ধিকে।প্রকৃতির রূপে রূপে তিনি খুঁজে ফিরেছেন পরম তত্ত্বকে।মহা সত্যকে।তিনি বিজ্ঞান বস্তু এবং ঘটনার ব্যাখ্যা করে প্রথম দেখান।তার আলোচনা ছিল বিশ্লেষণাত্মক। তাই তিনিই পৃথিবীর প্রথম প্রকৃত বিজ্ঞানী।