সমবায় পরিচালন কমিটির নির্বাচনের দাবিতে দাসপুরের চকসুলতান রাজ্য সড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন উপভোক্তারা। সেই সঙ্গে মহকুমা সমবায় আধিকারীককে ঘেরাও করে নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচনের দাবিতে। বিক্ষোভকারিদের হঠাতে গেলে পুলিশলের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাঁধে। পরে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী সহ র্যাকফ। তবুও অনড় আন্দোলনকারীরা। শনিবার রাত সাড়ে আটটা পর্যন্তও চলছে সেই বিক্ষোভ। সমবাও বাঁচাও মঞ্চের এই কমসূচীতে সামিল হয় শতশত মানুষ। ঘটনা দাসপুর -২ ব্লকের চকসুলতান মেহনতি সমবায় সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে।
আগামী রবিবার ১৫ জুন রয়েছে সমবায় নির্বাচন। নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে তৃণমূল ও দলদাস পুলিশ সমবায় আধিকারীক দেবাঞ্জন দে’কে দিয়ে শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে নির্বাচন স্থগিতের নোটিশ লাগাতে আসে। তখন উপভোক্তারা জানতে পেরে সেই অফিসারকে ঘেরাও করে। তিনি অজুহাত দিয়ে বলেন, পুলিশ কর্মী মোতায়েন করতে পারবে না বলেই এই সিদ্ধান্ত। এই অজুহাতের বিরুদ্ধে জনরোষ ছড়িয়ে পড়ে, উপভোক্তারা দাবি তোলেন আগামীকালই নির্বাচন হোক। 
সমবায় বাঁচাও মঞ্চের জেলা সম্পাদক গনেশ সামন্ত বলেন, ‘‘নির্বাচন স্থগিত করে তৃণমূল প্রসাশক বসিয়ে লুঠে খাওয়ার জন্য এই পদক্ষেপ নেয় পুলিশ ও সমবায় আধিকারীকদের দিয়ে।গত ১৩ সালে ও ১৫ সালে সমবাও বাঁচাও মঞ্চের ৪১ জন প্রতিনিধি জয় লাভ করে। এরপর ২০২০ সালে ভোট বন্ধ করার করায় উপভোক্তারা হাইকোর্টে আপিল করে। হাইকোর্ট ভোটের নির্ঘন্ট বেঁধে দেওয়ায় তৃণমূল সেই নির্বাচনে কোনো প্রার্থী দিতে পারেনি। এবারের প্রতিনিধি নির্বাচন সমবায় বাঁচাও মঞ্চের পক্ষে ৪১ টি আসনের সব কটি আসনে প্রার্থী রয়েছে। তৃণমূল ১৭ টি আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি।’’
এদিনের এই ঘটনাকে ধিক্কার জানিয়ে সমবায়কে রক্ষার দাবিতে রবিবার সমবায় দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের ডাক দিয়েছে সমবায় বাঁচাও মঞ্চ।