EC CAMPAIGN

মন্দির-মসজিদ নয় প্রচারে, নির্দেশিকা কমিশনের

জাতীয়

মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বার বা উপাসনাস্থল সংক্রান্ত বিষয়কে ভোটের প্রচারে আনা চলবে না। মহিলাদের অসম্মান হয় এমন বক্তব্য ব্যবহার করা যাবে না প্রচারে। জাত বা সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে কোনও আবেদন করা যাবে না। শুক্রবার নির্বাচনী প্রচার সংক্রান্ত আট দফা নির্দেশিকায় এই মর্মে সতর্কবার্তা দিল নির্বাচন কমিশন।
তিন পাতার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন বলেছে, গত কয়েকটি নির্বাচনে একেবারেই নিম্নমানের প্রচার হয়েছে। নির্বাচনী প্রচার নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক হওয়া উচিত। বিষয় ঘিরে বিতর্ক হওয়া উচিত। 
কমিশনের নির্দেশ, বিপক্ষের কারও ব্যক্তিগত জীবনকে প্রচারের আঙিনায় টেনে আনা যাবে না। সোশাল মিডিয়ায় নিম্ন রুচির প্রচার চালালেও তা কমিশনের বিবেচনায় থাকবে। বাস্তব ভিত্তি নেই, কেবল ভোটদাতাদের বিভ্রান্ত করতে চালানো হচ্ছে, এমন প্রচারও করা যাবে না। 
মার্চেই নির্বাচন ঘোষণা হতে পারে। সেই সঙ্গে জারি হয়ে যাবে আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি। কমিশন বলেছে, সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক নির্বাচনে দেখা যাচ্ছে বিপক্ষের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে। ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে। সোশাল মিডিয়ায় এমন পোস্ট করা হচ্ছে যা ব্যঙ্গ বা কৌতুকের সীমারেখা অতিক্রম করে যাচ্ছে। এমন প্রকল্পের নাম করে ভোটদাতাদের প্রলোভিত করা হচ্ছে যার অস্তিত্বই থাকছে না। 
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ‘স্টার ক্যামপেনার’-দের প্রচার বিধি সম্পর্ক বিশেষ সতর্ক থাকতে বলেছে কমিশন। কিন্তু কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি সরকার আসীন হওয়ার পর যাবতীয় বিধির দায় কেবল তাদেরই ঘাড়ে চাপানোর অভিযোগ বারবার তুলেছেন বিরোধীরা। নির্বাচন কমিশনের নিয়মবিধি ভাঙলেও বিজেপি’র নেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রচার ঘিরে অভিযোগ জানালেও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। 
এদিনই হুগলীর আরামবাগে বিজেপি’র নির্বাচনী সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘রামমন্দির পুনর্নির্মাণের’ জন্য অভিনন্দন জানানো হয়েছে। সরকারি অনুষ্ঠানে মোদীও দেবতার নামে জয়ধ্বনি দিয়েছেন। এর আগে বারাণসীতে বেনারস হিন্দু বিশ্ব বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানেও মোদীর ভাষণে একই ব্যঞ্জনা থেকেছে। প্রচারে আরও জোরালো হবে এমন বাক্যবন্ধের ব্যবহার। কমিশন সেক্ষেত্রে নিরপেক্ষ থাকবে কতটা, এধিন নির্দেশিকার পরও সে প্রশ্ন রয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment