Asia Book of Records

এশিয়া বুক অফ রেকর্ডস থেকে পুরস্কৃত সিঙ্গুরের শিক্ষক

জেলা

শংসাপত্র ও মেডেল হাতে শিক্ষক তাপস দাস। ছবি -অনন্ত সাঁতরা।

ছয় মাস আগে পেয়েছিলেন ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস'র শংসাপত্র। আর এই ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই এশিয়া বুক অফ রেকর্ডস থেকে স্বীকৃতি পেলেন সিঙ্গুরের শিক্ষক ও নাট্যকর্মী তাপস দাস। এশিয়া বুক অফ রেকর্ডস তাঁকে  Maximum letters written to the editor of a Bengali Newspaper এই শিরোনামে শংসাপত্র ও মেডেল দিয়ে পুরস্কৃত করেছে। এ এক সামাজিক দায়বদ্ধতার অনন্য স্বীকৃতি বলা যায়। সংবাদ পত্রের পাতায় চিঠি আকারে তিনি বহু সংবাদ তুলে ধরেছেন স্থানীয় এবং সমাজের সার্বিক শতাধিক জ্বলন্ত সমস্যা  যেমন কৃষি, জনস্বাস্থ্য, ট্রাফিক,রাস্তা ,বিদ্যালয় ,শিশু সুরক্ষা,পরিবেশ, বন্যপ্রাণী রক্ষা সহ শ্রমজীবী মানুষের একাধিক সমস্যাকে। 
কর্মসূত্রে হুগলি জেলার বৈদ্যবাটী বনমালী মুখার্জী ইনস্টিটিউশন উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক। নেশা নাট্যচর্চা ও লেখালিখি। বলা যায় সব মিলিয়ে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড নিয়ে ব্যস্ত  থাকেন তাপস দাস। বাড়ি সিঙ্গুর থানার সিঙ্গুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বেড় গ্রামে। পেশা ও নেশার ফাঁকে ফাঁকে সংবাদ পত্রে বিভিন্ন এলাকার সমস্যা ভিত্তিক খবর  চিঠির আকারে তুলে ধরেন। এই ভাবেই তিনি ধারাবাহিকভাবে প্রশাসন ও নাগরিকদের নজর কাড়েন এবং  সচেতন করার কাজ দীর্ঘদিন ধরে করে আসছেন। 
শিক্ষক তাপস দাসের পড়াশোনা শুরু হয় অপূর্বপুর সৌরিন্দ্রনাথ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এরপর হুগলি জেলার অন্যতম জনপ্রিয় সিঙ্গুর মহামায়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে বেলুড় লালবাবা কলেজ থেকে বাংলা ভাষা সাহিত্যে অনার্স সহ গ্রাজুয়েশন করেন। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। হুগলি জেলার বৈদ্যবাটীতে শিক্ষকতার পাশাপাশি অবসর সময়ে একজন সক্রিয় নাট্যকর্মী হিসাবে তিনি এলাকা এবং জেলার বাইরেও সুনামের অধিকারী। ডানকুনি, সিঙ্গুর ,শ্রীরামপুরের একাধিক নাট্যদলে অভিনয় করেন। বর্তমানে তিনি সারা বছরই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের একাধিক মঞ্চে হুগলি জেলার অন্যতম প্রাচীন হরিপাল আশ্রমিক নাট্যদলের সদস্য হয়ে নাট্যাভিনয়ে যুক্ত। এখনও পর্যন্ত তিনি প্রায় দেড় শতাধিক মঞ্চে অভিনয় করেছেন। আর তার ফাঁকে ফাঁকে চলে লেখালিখি। বিশেষ করে চিঠি লেখার শুরু অনেক দিন আগেই। রেডিও চ্যানেলে চিঠি- পত্রের আসর এবং বিভিন্ন সংবাদপত্রে সমাজের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে তিনি জীবন্ত করে তুলে ধরেন। অতি সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক প্রতিনিধি হয়ে তিনি হায়দ্রাবাদ থেকে “CCRT” ট্রেনিং সম্পন্ন করেছেন।

Comments :0

Login to leave a comment