স্থায়ী কাজ ইনসাফের দাবীতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে আহ্বান জানিয়ে শুরু রায়গঞ্জ থেকে বহরমপুর সম্প্রীতি যাত্রা। শেষ হবে ১২ জুন।
উত্তর দিনাজপুর জেলার বাংলাদেশ সীমান্তের ভাটোল থেকে সম্প্রতির যাত্রার আগে ডিওয়াইএফআই’এর ২০ তম রাজ্য সম্মেলনের আগে ভাটোলে বিশাল যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যুব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি, রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা, জেলা সম্পাদক ইন্দ্রজিত বর্মন, জেলা সভাপতি রুহুল আমিন এবং সংগঠনের বীরভুম জেলা সম্পাদক আকবর আলি।
সোমবার সকালে ভাটোলের সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, ‘কাজ নেই, কৃষকের ফসলের দাম নেই। রাজ্যের মা বোনদের সম্মান ফিরিয়ে দিতে হবে, ওরা মানুষকে ভুলিয়ে রাখতে চাইছে ধর্মের নামে জাতের নামে।’ তিনি আরও বলেন, ‘৫৭ বছর আগে সংগঠনের জন্ম। পাড়ার মানুষের পাশে থেকে যুবরা রক্ত দেবে, পাড়ায় বিয়েসাদিতে করিতকর্মা করে করবে ১৫ থেকে ৪০ এর কাজ। এই কাজের সাথে রাজনীতি কোথায় সেটাও জানতে হবে। কাজ করব, দাম পাবো না, তা হবে না, সেই কারণে পথে নামলো ডিওয়াইএফআইয়ের বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য দীনেশ মজুমদাররা।’ 
নেতৃত্ব বলেন, ‘ভগৎ সিং দের রাস্তা ধরেই ডিওয়াইএফআই। কাজের দাবিতে কলকাতাতে ১৬ জন পুলিশ ঘিরে ধরে মইদুলকে খুন করেছিলো, বাড়ির ছাদ থেকে ঠেলে দিয়ে আনিস খানকে খুন করলো। সৎ পথে খেটে খেতে চাইছি। ঔষধ কিনতে না পারলে সরকারের ঘরে ট্যাক্সের টাকা ঢুকবে?’ 
মীনাক্ষী বলেন, ‘ভোটের সময় ভোট লুট হয়ে যায়, যদি কাজের সুযোগ করে দিতো, তাহলে কলার উছু করে ভোট দিতে যেতে পারবো। সরকার চাইছে ভোট লুটের জন্যে যুবকরা লুঠের কাজ করুক। ফেল করা ছেলে মেয়েদের দোষ কোথায়? ২৬ হাজার চাকরি চোর দের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। মাইক্রোফিনাস ঢুকছে কারণ সরকার ঋণ দিচ্ছে না। বিজেপি আর তৃণমূল সরকারের ধর্ম নিয়ে ভোটে নেমে পড়েছে। ধর্ম হচ্ছে এদের টোপ, চেয়ারে টিকে থাকার জন্যে ধর্মকে ব্যবহার করে।’