ধর্ষণের প্রতিবাদ জানিয়ে আটক এসএফআই-ডিওয়াইএফআই নেতৃবৃন্দকে শনিবার জামিন দিয়েছে আদালত। সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল প্রতিবাদী বামপন্থী ছাত্র যুবদের। আটক ছাত্র যুব নেতৃত্বকে আলিপুর আদালতে পেশ করে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে বিজন সেতু থেকে বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত হয়। সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়ে ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক ধ্রুবজ্যোতি সাহা সহ বাম ছাত্র যুব নেতা কর্মীদের। এছাড়াও গ্রেপ্তার করা হয় সিপিআই(এম) নেতা সুদীপ সেনগুপ্তকেও। মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 
একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৯১, ২৮৫,১০৯,৩০৭ ধারায় মামলা করা হয়েছে। এদিন ধৃতদের দুপুর ৩টে নাগাদ আলিপুর কোর্টে নিয়ে আসা হয়। ৬ জনকে তোলা হয়েছে আদালতে। প্রথম পর্বের শুনানির কাজ শেষ হয়েছে। তারপর বিচারক সকলকে জামিন দিয়েছেন।

ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভাপতি অয়নাংশু সরকার বলেন, "আইন কলেজের ঘটনা প্রতিবাদে গতকাল রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত হয়েছে। গোটা প্রশাসন তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। আর জি করে সময় আমরা বলেছিলাম 'মাথা ধরো'। গত ৮ বছর ধরে কলেজে কলেজে নির্বাচন নেই। দুর্নীতি দুষ্কৃতীদের আখড়া হয়ে গেছে কলেজ গুলো।"

তিনি আরও বলেন, "গতকাল পুলিশ বর্বরোচিত ভাবে আমাদের সাথীদের উপর হামলা করে। নির্বিচারে লাঠি চালায়। গ্রেপ্তার করা হয় ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক সহ আরো প্রায় ১৩ জনকে। আজ আদালত জামিন দিয়েছে সবাইকে। এর থেকেই পরিষ্কার যে পুলিশ প্রতিহিংসা থেকেই গ্রেপ্তার করেছিল। আমাদের ধারাবাহিক আন্দোলন চলবে। যত দিন না সকল দোষীর উপযুক্ত শাস্তি হচ্ছে।