মঙ্গলবার সকাল থেকে শিলিগুড়ি শহরের একাধিক জায়গায় একযোগে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। চলতি মাসে পর পর দুইবার শহরের একাধিক জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে ইডির অভিযানে শহর জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শিলিগুড়ি শহরে সাইবার কেলেঙ্কারির তদন্তে ছয়টি জায়গায় অভিযান চালালো ইডি’র আধিকারিকেরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে অভিযান চালানো হয় শিলিগুড়ি শহরের ৫, ৮, ৯ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক জায়গায়। জানা গেছে, পুরোনো একটি সাইবার প্রতারনার মামলার সূত্র ধরেই এই অভিযান চালানো হয়। এই মামলায় প্রায় দুড় দুই বছর আগে অভিযান চালিয়ে অভিষেক বানশাল নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছিলো ইডি। সম্প্রতি শহরে নতুন করে সাইবার অপরাধীদের চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা ইডি’র অভিযান শুরু হয়েছে। তবে ইডি’র পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত সরাসরি কোন বিবৃতি দেওয়া হয়নি। খালপাড়ার ৮নম্বর ওয়ার্ডের এম আর রোডের একটি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালানো হয়েছে এদিন। পাশাপাশি ৫নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পাড়া, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খালপাড়ার যমুনা বাজার রোড ও এস পি মুখার্জি রোডে এক উকিলের বাসভবনে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। ওই উকিলের আরো একটি বাড়ি ৩৩নম্বর ওয়ার্ডের লেকটাউন এলাকাতেও অভিযান চালায় ইডি আধিকারিকেরা। সকাল থেকেই বাড়িগুলির সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। মামলার তদন্ত চলাকালীন অবস্থায় ইডি’র অভিযানকে ঘিরে শিলিগুড়ি শহরে সক্রিয় প্রতারনা চক্র নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সম্প্রতি চলতি মাসের ৩ তারিখেও শিলিগুড়ি নতুন পাড়া, সন্তোষীনগর এলাকায় ইডি’র অভিযান চলে। সেই অভিযানে একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। ইডি’র এই অভিযান বিষয়ে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি রাকেশ সিং বলেন, ইডি অভিযান চালাতে পারে। তবে আমাদের এবিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।