CPIM welcomes SC verdict

নির্বাচনী বন্ড বাতিলের রায়কে স্বাগত ইয়েচুরি, সেলিমের

জাতীয়

সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানালেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি বলেছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ সর্বসম্মতিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা খুশি। সিপিআই(এম)’র যুক্তি যে সঠিক তা প্রমাণিত হয়েছে আদালতে।’’
সিপিআই(এম)’র পক্ষে এই মামলায় আইনজীবী ছিলেন শাদান ফরাসত। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইয়েচুরি। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও।
সেলিম বলেছেন, ‘‘আর নতুন করে নির্বাচনী বন্ড না ছাড়ার নির্দেশ অত্যন্ত ভালো। কিন্তু এর পরের পদক্ষেপও জরুরি। তা হলো বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে যে অর্থ জোগার করেছে তাকে বাজেয়াপ্ত করতে হবে। অসাংবিধানিক এই বন্ডের টাকা বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রকে তা ব্যবহার করতে হবে নির্বাচনী খরচ জোগাতে।
সিপিআই(এম) বরাবর নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে গোপনে কর্পোরেটের থেকে রাজনৈতিক দলগুলির নির্বাচনী তহবিলে টাকা দেওয়ার বিরোধী। অতীতে নির্বাচন কমিশনকে প্রত্যেক রাজনৈতিক দল জানাতে বাধ্য থাকত যে মোটা অঙ্কের অর্থ কে দিচ্ছে। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার আইন সংশোধন করে এই ব্যবস্থা তুলে দেয়। কর্পোরেটের অনুদানের উৎস গোপন রাখার ব্যবস্থা করে কমিশন ও জনতার কাছে। 
সিপিআই(এম) নির্বাচনী বন্ডে কোনও অর্থ সংগ্রহ করেনি নীতিগত অবস্থান নিয়ে। নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের দাবি বারবার তুলেছে পার্টি। সিপিআই(এম)’র বক্তব্য, সরকারি তহবিল থেকে প্রতিটি দলকে নির্বাচনী খরচ দিতে হবে। সব দলের সমান সুযোগ থাকবে। তার বদলে কর্পোরেটের সঙ্গে গোপন বোঝাপড়া রাজনৈতিক দুর্নীতিকে তীব্র করবে। ধান্দার ধনতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে। বাস্তবে তা-ই হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইলেক্টরাল বন্ড যে সাংবিধানিকতাকেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে সেই কথা প্রথম থেকেই বলে এসেছে সিপিআই(এম)। এ বিষয়ে শুরু থেকে মামলাকারিদের মধ্যে অগ্রভাগে ছিল সিপিআই(এম)। কেন নির্বাচনী বন্ড অসাংবিধানিক এবং সংসদীয় ব্যবস্থায় তার প্রভাব কতো সুদূরপ্রসারী হতে পারে সেই বিষয় স্পষ্ট ব্যাখাও দেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি বলেন, ‘‘তিন মাস আগেই শীর্ষ আদালতে এই বিষয়ে আবেদনের শুনানি শেষ করে। এরই মধ্যে দুই দফায় নতুন করে নির্বাচনী বন্ড ছাড়া হয় এবং রাজনৈতিক দুর্নীতিকে আইনী স্বীকৃতি দেওয়া হয়’’। পাশাপাশি সীতারাম ইয়েচুরি নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন করার আবেদন জানান সুপ্রিম কোর্টকে। 

 

Comments :0

Login to leave a comment