চব্বিশ ঘন্টায় গাজায় আরও ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ইজরায়েলের হানাদারিতে। আরও অন্তত ৫১ জন আহত। হত্যার তীব্রতায় উদ্বিগ্ন রাষ্ট্র সঙ্ঘ শুক্রবার বলছে, এবার রাফায় পুরোদমে ইজরায়েলের সেনা হানাদারি শুরু করলে নির্বিচারে গণহত্যাই কেবল হবে।
বিশ্বজুড়ে ক্ষোভের মুখে ইজরায়েল। ক্ষোভের মুখে তার পশ্চিমী সহযোগীরা। দমন চালিয়েও বিক্ষোভ থামানো যাচ্ছে না আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। বিক্ষোভ হচ্ছে ইউরোপেও। আমেরিকা একদিকে যুদ্ধবিরতির কথা বলছে, আরেকদিকে জো বাইডেন প্রশাসনই সামরিক সহায়তা পাঠাচ্ছে ইজরায়েলে।
গত সপ্তাহেই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়ে দিয়েছিলেন রাফায় সামরিক বাহিনী ‘অপারেশন’ চালাবেই। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবিক ত্রাণ বিষয়ক বিভাগের মুখপাত্র জেনস লেরকে বলেছেন, রাফায় পুরোদমে সেনা হানাদারি শুরু হলে আরও কয়েক লক্ষ মানুষের প্রাণ বিপন্ন হবে।
গাজা ভূখণ্ডে ইজরায়েল মাস সাতেক আগে হানাদারির সময়ে দক্ষিণে রাফায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল নাগরিকদের। আকাশ থেকে চলছিল লাগাতার হামলা। বাড়িঘর ভেঙে দিয়েছে ইজরায়েলের বোমা। দক্ষিণে মিশর সীমান্তের কাছে রাফায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হন লক্ষ লক্ষ নাগরিক। গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। এবার ঘন জনবসতিতে চলবে হামলা।
এর মধ্যেই হামাস জানিয়েছে তাদের রাজনৈতিক বিভাগের প্রধান ইসমায়েল হানিয়ে কাতারে ফিরেছেন। কাতারে হামাসের রাজনৈতিক দপ্তর। হানিয়ে ফিরেছে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসিপ তয়িপ এরদোগানের সঙ্গে বৈঠক করে।
বিশ্বে বাড়ছে প্রতিবাদ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজার জনতাকে সংহতি জানিয়ে চলছে কর্মসূচি। দু’সপ্তাহ আগে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রতিবাদের নতুন তরঙ্গে আলো৩িত আমেরিকা।
Comments :0