এসআইআর’র বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহ পর্ব ১১ ডিসেম্বর সম্পন্ন হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত শুনানি পর্ব চলবে। যাঁরা ফরম ফিলআপ করে জমা দিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের নাম থাকবে এই তালিকায়। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও যদি বর্তমান ভোটার তালিকার নামের সঙ্গে অমিল থাকে তাহলে তাদের শুনানিতে ডাকার সম্ভাবনা রয়েছে। খসড়া তালিকা যাচাই করা প্রত্যেক ভোটারের দায়িত্ব। তাই নিজের নাম আছে কিনা তা ১৬ ডিসেম্বরের পরে দ্রুত যাচাই করা জরুরি বলে বারবার মনে করিয়ে দেয়েছে নির্বাচন কমিশন। বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া এনুমারেশন ফর্ম পাঠানোর পর ফেরত না আসা ফরমের ভোটারদের আলাদা করে তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। মৃত, স্থানান্তরিত ও অনুপস্থিত বলে চিহ্নিত, তাঁদের নাম থাকবে সেই তালিকায়। রাজ্যের প্রত্যেকটি বুথের বাইরে সেই তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হবে।
কী ভাবে এবং কোথায় খসড়া ভোটার তালিকা দেখা যাবে, তা জানিয়েছে দিয়েছে কমিশন। স্থানীয় বুথ, পঞ্চায়েত অফিস, পৌরসভা, মহকুমা শাসক, জেলাশাসকের দপ্তর এবং বিডিও অফিস টাঙিয়ে দেওয়া হবে খসরা ভোটার তালিকা খবর কমিশন সুত্রে।
কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, অনলাইলের সঙ্গে অফলাইনেও ভোটার তালিকায় নিজের নাম দেখা যাবে। বিএলওদের কাছে যেমন খসড়া ভোটার তালিকা থাকবে তেমনি রাজনৈতিক দলের কাছে যেমন খসড়া ভোটার তালিকা থাকবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অফলাইনে ভোটার তালিকায় নাম আছে কিনা দেখে নেওয়া যাবে বিএলও ও স্বীকৃতি রাজনৈতিক দলের কাছে থেকে। অনলাইনে এপিক কার্ড নাম্বরের সঙ্গে নামও লাগবে। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট eci.gov.in, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের ওয়েবসাইট ceowestbengal.wb.gov.in কিংবা eci net অ্যাপে গিয়ে নিজের নাম এবং এপিক নম্বর দিতে হবে। তাতেই জানা যাবে খসড়া তালিকায় নাম রয়েছে কিনা। এ ছাড়া, সংশ্লিষ্ট ভোটারের জেলার তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক (ডিইও)-দের ওয়েবসাইটে গিয়েও খসড়া তালিকায় নাম রয়েছে কি না, তা দেখা যাবে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, খসড়া তালিকা থেকে যাঁদের নাম বাদ পড়েছে, তা নিয়েও পৃথক তালিকা প্রকাশ করা হবে। সেই তালিকা সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ এবং দাবি কমিশনে জানানো যাবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। সে সব অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা, বিতর্কের নিষ্পত্তি করা, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে শুনানিতে (হিয়ারিং) ডাকা এবং আলোচনার সাপেক্ষে সন্দেহ দূর করার কাজ ইআরও’রা করবেন ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সব শেষে ১৪ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে।
সূত্রের খবর, যাঁদের নাম ২০০২ সালের তালিকায় না-থাকলেও বাবা-মা বা আত্মীয়ের নাম আছে, রাজ্যে তেমন ভোটারের সংখ্যা ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৩৯ জন। এছাড়া, ৩০ লক্ষ ভোটার রয়েছেন, যাঁদের নিজেদের নাম বা আত্মীয়ের নামও ২০০২ সালের তালিকায় নেই। এই তালিকার সকলকেই কমিশনের তরফে শুনানিতে ডাকা হতে পারে। তাঁদের তথ্যপ্রমাণ, নথি যাচাই করে দেখা হবে। ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার পরিসংখ্যান প্রকাশ করে আগেই কমিশন বলছে, বাংলায় খসড়া তালিকা থেকে মোট নাম বাদ যাচ্ছে ৫৮ লক্ষ ১৭ হাজার ৮৫১ (৭.৫৯%) জনের।
Bengal Draft Voter list After SIR
রাত পোহালেই খসড়া তালিকা প্রকাশ, কী ভাবে দেখবেন নাম
×
Comments :0