SFI Purba Bardhaman

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে পুলিশ ও তৃণমূলের যৌথ আক্রমণ, পাল্টা প্রতিরোধ এসএফআই'র

রাজ্য জেলা

বর্ধমান বিশ্বববিদ্যালয়ের গেটের সামনে আক্রান্ত ছাত্র-ছাত্রীরা।

শঙ্কর ঘোষাল
ক্যাম্পাসে গণতন্ত্র ও নিরাপত্তার দাবি নিয়ে বর্ধমান বিশ্বববিদ্যালয়ে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে এসএফআই। এদিন পুলিশ ও সিকিউরিটি গার্ডদের হাতে ৯ জন ছাত্র-ছাত্রী রক্তাক্ত হয়েছেন। তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এরপরই এসএফআই নেতৃত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি গার্ডদের বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

বুধবার এসএফআই’র নেতৃত্বে ছাত্র-ছাত্রীরা মিছিল করে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে যায় তাঁদের দাবী ছিল ক্যাম্পাসে গণতন্ত্র ও নিরাপত্তা চাই। গত ৯-১১ বর্ধমান বিশ্বববিদ্যালয়ের বার্ষিক সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গভীর রাতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের  ভট্টাচার্য্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থামিয়ে নিজের পরিচয় দিয়ে বক্তৃতা করে। শুধু তাই নয় এই অনুষ্ঠানে একাধিক বহিরাগত উপস্থিত হয়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছে। এসএফআই এদিন অভিযোগ করেছে হাইকোর্টের নির্দেশের পরও জেলার বহু কলেজে বেআইনী ছাত্র সংসদ খুলে রাখা হয়েছে। বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে ঢোকা বন্ধ করে ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করারও দাবি জানিয়েছে।  
এই দাবীকে সামনে রেখে ডেপুটেশন দিতে এসে আক্রান্ত হন ছাত্র-ছাত্রীরা। এসএফআই নেতা কৌশিক সরকার, সোমনাথ দে ও সুদীপ্তা মাজি সহ ৯ জন আহত হয়েছে। তাঁদের উপর বিনা প্ররোচনায় ঝাঁপিয়ে পড়ে সিকিউরিটি নামে শাসকদলের পোষা গুন্ডারা। ছাত্রীদের শ্লীলতাহানিও করা হয়। এরপর আন্দোলন তীব্র হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার দেখা করে ছাত্রদের কাছে ডেপুটেশনের কপি নিয়েছেন। এদিন আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন এসএফআই পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক উষসী রায়চৌধুরী, সভাপতি প্রবীর ভৌমিকল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এসএফআই রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বলেন, "বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়তেও তৃণমূল ক্রাইম সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসছে। একাধিক দুর্নীতির ঘটনা ক্যাম্পাসের জমি বিক্রির ঘটনা আমাদের সামনে এসেছে। এই সমস্ত দাবি নিয়ে এসএফআই গিয়েছিল ডেপুটেশন দেওয়ার জন্য। সেখানে প্রথমে পুলিশ এসে আক্রমণ করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ছাত্রীদেরকে তাদের নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয় ঢুকতে বাধা দেয় পরবর্তীতে এলাকার তৃণমূলের বাহিনী তারাও পুলিশের মদতে হামলা চালায়। একাধিক কমরেড আহত হয়েছে তার মধ্যেও এসএফআই প্রতিরোধ তৈরি করেছে। তৃণমূল এটা এবার বুঝে নিক এটাই এখন গোটা রাজ্যের এস এস আই এর মেজাজ। প্রতিদিনই কোন না কোন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে এসএফআই পৌঁছে যাবে ক্রাইম সিন্ডিকেটকে ভাঙার জন্য।"

পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক উষসী রায় চৌধুরী বলেন, "আমরা নির্দিষ্ট দাবি নিয়ে ডেপুটেশন জমা দিতে গেছিলাম। ক্যাম্পাসের ভিতরে পুলিশ ও তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী আমাদের ওপর আক্রমণ করে। আমরা পাল্টা প্রতিরোধে বাধ্য হয় রেজিষ্টার দেখা করে ডেপুটেশন জমা নিতে। আমাদের আন্দোলন চলবে যত দিন না তৃণমূলের ক্রাইম সিন্ডিকেট ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়ে না যাচ্ছে।"  

Comments :0

Login to leave a comment