সন্ত্রাসবাদের বিপদ সম্পর্কে চোখ বুঁজে থাকলে মানবতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। পাকিস্তানের প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সমর্থন পেতে কানাডায় জি-৭ গোষ্ঠীতে এই মর্মে আবেদন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মোদী বলেছেন, ২২ এপ্রিল পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলায় প্রতিটি ভারতীয়ের পরিচয় এবং সম্ভ্রম আক্রান্ত হয়েছে। যারা সন্ত্রাসবাদকে মদত দিচ্ছে তাদের মাশুল চোকানোর জন্য বাধ্য করা দরকার।
পহেলগাম হামলার পর সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের মদতের ঘটনায় আন্তর্জাতিক স্তরে সরব হওয়ার চেষ্টা করছে ভারত। ৩৩ দেশে পাঠানোর হয়েছে বিভিন্ন সংসদীয় প্রতিনিধিদল। তবে আন্তর্জাতিক স্তরে সন্ত্রাসবাদ যোগের জন্য পাকিস্তানকে জবাবদিহি করতে কতটা বাধ্য করা গিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। পাকিস্তানের সেনা প্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে বুধবারই বৈঠক করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মুনিরকে আমেরিকার সেনাবাহিনীর আড়াইশো বছর পূর্তির কুচকাওয়াজে অতিথি হিসেবে ডাকার অভিযোগও ওঠে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে। আমেরিকা যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
অন্য দেশের প্রধানদের উদ্দেশ্য করে মোদী বলেছেন, ‘‘আমরা কী সন্ত্রাসবাদের বিপদ যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছি? আমাদের নিজেদের দরজায় যতক্ষণ না বিপদ ধাক্কা দিচ্ছে ততক্ষণ আমরা সতর্ক না হওয়ার মনোভাব নিয়ে চলছি কি?’’
মোদী বলেছেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ যারা চালাচ্ছে আর যারা আক্রান্ত, দু’পক্ষকেই কি একই পাল্লায় মাপা যায়?’’
উল্লেখ্য, পহেলগাম হামলার পর সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত ও পাকিস্তানকে বাণিজ্য বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি করানোর দাবি জানান ট্রাম্প। ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি এদিন দাবি করেছেন যে ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপে ভারতের তরফে এমন দাবি খারিজ করেছেন মোদী। তবে সে সময় ভারত এবং পাকিস্তানকে ট্রাম্প যেভাবে এক করে দেখিয়েছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
সন্ত্রাসবাদের পাশাপাশি বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি সুরক্ষার বিষয়টিও এসেছে মোদীর ভাষণে। তিনি বলেছেন, ‘‘উন্নয়নশীল এবং বিকাশশীল দেশগুলিকেই জ্বালানি অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে হয় বেশি। সংঘাত বিশ্বের যে কোনও জায়গাতেই হোক এই দেশগুলিই খাদ্য, জ্বালানি, সার এবং আর্থিক সঙ্কটে পড়ে সবার আগে।’’
মোদীর দাবি, উন্নয়নশীল এবং বিকাশশীল দেশগুলির স্বার্থকে আন্তর্জাতিক স্তরে হাজির করাকে দায়বদ্ধতা মনে করে ভারত।
বাস্তবে ভারতের অবস্থান যদিও উলটো থেকেছে। গাজায় ইজরায়েলের গণহত্যার প্রশ্নে আমেরিকার অনুগত নীতিতে মোদী সরকার অবস্থান নিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘে। উন্নয়নশীল এবং বিকাশশীল দেশগুলি যদিও গাজায় সংঘর্ষ বরতির পক্ষে অবস্তান নিয়েছে বারবার।
Modi G-7
গাজার গণহত্যায় চুপ! এখন উন্নয়নশীল বিশ্বকে প্রতিনিধিত্বের দাবি মোদীর

×
Comments :0