রিঙ্কি দাস: কোঝিকোড়
চলছে শিক্ষার বেসরকারিকরণ। সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে পঙ্গু করা হচ্ছে। চলছে সাম্প্রদায়িকীকরণ। বাতিল করতে হবে নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি। চলছে লড়াই।
শনিবার কোঝিকোড়ে এসএফআই সর্বভারতীয় সম্মেলনে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে একথা বলেছেন বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিরা।
কোঝিকোড়ে সংগঠনের দুই প্রাক্তন সর্বভারতীয় নেতা প্রয়াত সীতারাম ইয়েচুরি ও নেপালদেব ভট্টাচার্য মঞ্চে চলছে আলোচনা।
সম্মেলন শুরু হয়েছে শুক্রবার। সম্পাদকীয় প্রতিবেশনের ওপর চলছে আলোচনা।
এদিন প্রাক্তনীদের বিশেষ অধিবেশনে বক্তব্য রেখেছেন এসএফআই’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক বিমান বসু, প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি প্রকাশ কারাত, এমএ বেবি, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক নীলোৎপল বসু প্রমুখ। ইতিহাস এবং বর্তমানের লড়াইয়ের মধ্যে সেতু গড়েছে এই অধিবেশন।
আজকের সময়কে তুলে ধরে বিভিন্ন রাজ্যের ছাত্র নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন যে সংরক্ষণকে নানা কৌশলে লঘু করছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী বর্ণবাদী রাজনীতি। সেমেস্টার পদ্ধতিতে সমস্যায় পড়ছে তপসিলি জাতি, আদিবাসী বা পিছিয়ে থাকা অন্য অংশের ছাত্রছাত্রীরা। সেমেস্টার পিছু দিতে হচ্ছে ফি। আর্থিক বিচারে অস্বচ্ছল এই পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের নাকাল হতে হচ্ছে।
প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন যে ছাত্রদের ওপর, শিক্ষার ওপর আক্রমণ কর্পোরেটকরণ, সাম্প্রদায়িকীকরণ এবং কেন্দ্রীকরণের নীতিতে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার শিক্ষার একের পর এক ক্ষেত্রে চরম কেন্দ্রীকরণ চাপিয়ে দিচ্ছে।
প্রতিনিধিরা বলেছে, নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির হাত ধরে সিলেবাস এবং পাঠ্যবইয়ে প্রভাব পড়ছে সাম্প্রদায়িকীকরণ হচ্ছে প্রবলভাবে। আরেকদিকে নানা কৌশলে স্কলারশিপ, ফেলোশিপ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গবেষণার সুযোগ সমানে কমানো হচ্ছে। সামাজিক বিচারে পিছিয়ে থাকা অংশের ছাত্রছাত্রীদের ‘অযোগ্য’ বলে বাতিল করা হচ্ছে।
শনিবারও একাধিক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে সর্বভারতীয় সম্মেলনে।
বিভিন্ন রাজ্যে এসএফআই’র নেতৃত্বে আন্দোলন হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের প্রতিদিনের সমস্যাকে বিবেচনায় রেখে। মেট্রোতে ছাত্রছাত্রীদের জন্য পাশ, স্কুলছুটের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া রুখতে হচ্ছে আন্দোলন।
আরএসএস অনুগামী ছাত্র সংগঠন এবিভিপি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালাচ্ছে। গণতান্ত্রিক পরিবেশের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে এই বাহিনী। এরা ছাত্রছাত্রীদের কথা বলছে না। বরং ক্যাম্পাসে ধর্মের নামে বিভেদ ছড়াচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্যে এই রাজনীতির বিরুদ্ধে সচেতন লড়াই চালাচ্ছে এসএফআই। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিরা বলেছেন আরজি করে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ খুনের বিচারের জন্য লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা। বলেছেন নদীয়ার কালীগঞ্জে নিহত ছাত্রী তমন্না খাতুনের কথা। রাজ্যের ছাত্র আন্দোলন ক্যাম্পাসে গণতান্তরিক পরিবেশ, ছাত্র সংসদ নির্বাচন এবং সকলের জন্য ইন্টারনেটের দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছে। জানিয়েছেন সেই অভিজ্ঞতা।
Comments :0