ডিআইএফআই রাজ্য সম্মেলন দ্বিতীয় দিনে প্রতিনিধি সম্মেলনের কাজ সকাল থেকেই চলছে। শেষ তিন বছর কিভাবে যে এলাকায় সংগঠন করতে গিয়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা হয়েছে তা তুলে ধরছেন প্রতিনিধিরা। আগামী দিনে কিভাবে এগিয়ে যাবে সংগঠন তা নিয়ে বিভিন্ন পরামর্শ আলাপ আলোচনা চলছে।
বহরমপুরে ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বামপন্থী বিভিন্ন যুব সংগঠনকে নিয়ে বিশেষ অধিবেশন হয়েছে। বৃহত্তর লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে পথ চলার লক্ষ্য জানিয়ে বিভিন্ন যুব সংগঠন তাঁদের অভিজ্ঞতার বিনিময় করেছেন এই অধিবেশনে। অংশ নেন আরওয়াইএফ’র রাজ্য সম্পাদক আদিত্য জোয়ারদার, সারা ভারত যুব লিগের রাজ্য সম্পাদক সমন্বয় বিশ্বাস এআইওয়াইএফ’র রাজ্য সভাপতি রাজেন্দ্র রাম।
আদিত্য জোয়ারদার বলেন, "গোটা রাজ্যের যুব সমাজ এই সম্মেলনের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা শেষ ১০-১৫ বছর ধরে রাজ্যের একাধিক বামপন্থী ছাত্র-যুব সংগঠন লাগাতার ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের পথে গিয়েছি। সামনের দিনে এই সংগ্রামকে আরো মজবুত করতে হবে। রাজ্য স্তরের যে ঐক্য রয়েছে সেই ঐক্যকে জেলা স্তর এবং বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দিতে হবে। বর্তমান সময়ে, একদিকে, আন্তর্জাতিক লগ্নি পুঁজি আক্রমণ করেছে। অন্যদিকে কর্পোরেট হিন্দুত্বের আক্রমণ চলছে। তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে শ্রেণি আন্দোলনের সঙ্গে যুব আন্দোলনের ঐক্য দৃঢ় করতে হবে।"
সমন্বয় বিশ্বাস বলেন, "আমরা একাধিক লড়াই সংগ্রাম করেছি। অনেক সাফল্যও এসেছে। এখন আমাদের বামপন্থী যুব সংগঠন গুলির কাজ নিজেদের আরও মজবুত করা। ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামই একে অপরকে ভরসা জোগাতে পারে।"
এই অধিবেশনেই ডিওয়াইএফআই’র রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, "ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম করতে গেলে প্রয়োজন শেষ শক্তি দিয়ে লড়াই করার মানসিকতা। কার কত শক্তি, কার কত লোকবল, সেটা সব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা নিজেদের শক্তি সংহত করব, তার সঙ্গে একে অপরের পাশে থাকব।"
DYFI Sate Conference
ঐক্য গড়তে হবে এলাকাতেও, ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্মেলনে বার্তা বিভিন্ন যুব সংগঠনের

×
Comments :0