রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে নিশানা করে এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘ এই রাজ্যের স্কুল গুলোয় মিড ডে মিল নেই, মিড ডে মিলের চাল চুরি করেছে তৃণমূল। রাজ্য থেকে প্রতিনিয়ত পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ছে। গোটা একটা প্রজন্ম রাজ্যের বাইরে। শিক্ষার সুযোগ কাজের সুযোগ কমছে এই বাংলার মাটিতে।’’
এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বলেন, ‘‘এই লড়াই লেখা পড়ার গুরুত্ব পুনরুদ্ধার করার। যুক্তি বোধকে শেষ করা হচ্ছে রাজ্যের বুকে। ড্রপ আউট বাড়ছে, দুর্নীতির জন্য শিক্ষকরা কাজ হারাচ্ছেন। লেখা পড়াকে বাঁচানোর জন্য আমাদের লড়াই। প্রাইভেট কলেজ গুলোকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য একমাস ধরে কলেজে ভর্তির পোর্টাল বন্ধ, কেন? কোন উত্তর নেই।’’
ছাত্র ছাত্রীদের ট্যাব দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন দেবাঞ্জন। বলেন, ‘‘ট্যাব দিয়ে খালাস হলে হবে না। ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে হবে সরকারকেই। কেরালার বামপন্থী সরকার সেই কাজ করে দেখিয়েছে। সবার জন্য বিনামূল্যে ইন্টারনেটের জন্য রাজ্য জুড়ে গণ স্বাক্ষর হবে।’’
রাজ্যের প্রায় আট হাজার স্কুল মার্জ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আদালতে সেই তালিকাও জমা দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। সরকারের এই স্কুল তুলে দেওয়া নিয়ে বার বার পথে নেমেছে এসএফআই। এদিন সমাবেশে দীপ্সিতা ধর বলেন, ‘‘রাজ্যের বুকে অনেক কলেজ তৈরি হয়েছে মানুষের টাকায়। বামপন্থীরা সেই কাজ করেছে। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নামে তৈরি হয়েছে স্কুল কলেজ। পাড়ায় পাড়ায়, জেলায় জেলায় সেই কাজ হয়েছে। সরকারের হাতে মানুষ টাকা তুলে দিয়েছে, বামপন্থী সরকার কলেজ বানিয়েছে। এখন সেই কলেজের দখল নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। কেশপুরে একজন স্কুল ছাত্রকে খুন করেছিল তৃণমূলের বাহিনী।’’
সংগঠনের রাজ্য সভাপতি প্রনয় কার্য্যী বলেন, ‘‘রাজ্যের কলেজ স্কুল ক্যাম্পাস গুলোয় সুস্থ পরিবেশ ফেরাতে আজকের এই সমাবেশ। দেড় মাস ধরে রাজ্য জুড়ে এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রচার হয়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘আজ প্রতিটা ছাত্রের অধিকার আক্রান্ত। গোটা রাজ্য ঘুরে বোঝা গিয়েছে, আজ এই রাজ্যে লেখা পড়ার অধিকার নেই। দেশে নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতির মাধ্যমে শিক্ষায় গৈরিকিকরণ করছে বিজেপি। এই দুই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই, ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করতে হবে।’’
Comments :0