পড়ুয়াদের কাউন্সিলিংকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা মেদিনীপুর কলেজে। গতবছর থেকে শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় ভাবে কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা। এবারও একই পদ্ধতি। রাজ্যের বিভিন্ন কলেজের বাইরে এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে পড়ুয়াদের সাহায্যের জন্য হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে। কাউন্সিলিং করতে এসে বা অন্য কোন বিষয় তাদের সমস্যা হলে হেল্প ডেস্ক থেকে সাহায্য করা হচ্ছে। গোটা রাজ্যের মতো মেদিনীপুর কলেজের বাইরেও এই কাজ চলছে। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে কাউন্সিলিং।
এসএফআইয়ের পাশাপাশি টিএমসিপির পক্ষ থেকেও হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে। এদিন সকালে হঠাৎ করেই এসএফআইয়ের হেল্প ডেস্কের কাছে এসে কাজে বাধা দিতে থাকে টিএমসিপি কর্মীরা। তাদের অভিযোগ বাইরে থেকে লোক এনে এসএফআই এই কাজ করছে এবং কলেজের ভিতর তারা প্রভাব খাটাচ্ছে। উল্লেখ্য ওই হেল্প ডেস্কে যেই এসএফআই কর্মীরা ছিলেন তারা সবাই মেদিনীপুর কলেজের পড়ুয়া। সবার কাছে ছিল নিজেদের কলেজের আইডি কার্ড।
বচসা থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি। একজন এসএফআই কর্মীকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এসএফআই নেতৃত্বের কথায় টিএমসিপির হেল্প ডেস্ক থেকে তাদের কাছে পড়ুয়ারা বেশি আসছেন সমস্যা নিয়ে। তাদের সমস্যার সমাধানও করে দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য গত বুধবার সর্বভারতীয় ধর্মঘটের দিন স্তব্ধ ছিল মেদিনীপুর কলেজ। পুলিশ গিয়ে কলেজের গেট খুললেও একজন পড়ুয়াও সেদিন ক্লাসে আসেনি।
SFI MEDINIPORE
মেদিনীপুর কলেজে এসএফআই টিএমসিপি সংঘর্ষ

×
Comments :0