A FAIRYTALE RUN FOR NUNO MENDEZ

রূপকথার দৌড় নুনো মেন্ডেজের

খেলা

সোমবার রাতে স্পেনকে হারিয়ে নেশনস লিগ জিতেছে পর্তুগাল। গোল পেয়েছেন রোনাল্ডো। এটি পর্তুগালের ইতিহাসের তৃতীয় মেজর ট্রফি । তবে এই গোটা মরশুম জুড়েই যার খেলা সব থেকে বেশি নজরে পড়েছে সে হল নুনো মেন্ডেজ। প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের অন্যতম কারিগর এই লেফট ব্যাক। মহম্মদ সালাহ থেকে শুরু করে বুকাও সাকা , লামিন ইয়ামাল। মেন্ডেজকে অতিক্রম করতে পারেননি কেউই। রক্ষণের সঙ্গে সঙ্গে আক্রমণেও সমান পারদর্শী তিনি। ফাইনালে নিজে গোল করা ছাড়াও রোনাল্ডোর সমতা ফেরানো গোলটিতেও অবদান রয়েছে তার সবথেকে বেশি। বাঁ দিক থেকে দ্রুত গতিতে বিপক্ষকে চকিতে পরাস্ত করেন নুনো। বক্সে স্ট্রাইকাররা যে সেন্টারের জন্য হা পিত্তেশ করে বসে থাকেন , সেই সেন্টার একের পর এক রাখতে পারেন নুনো। একসময় ব্রাজিল ও রিয়াল মাদ্রিদের মার্সেলোও এই কাজটি করতেন দক্ষতার সঙ্গেই। ফাইনালে স্পেনের অন্যতম ভয়ঙ্কর উইঙ্গার বছর ১৭-র লামিন ইয়ামালকে কার্যত বোতলবন্দি করে রেখেছিলেন মেন্ডেজ। নিজের শারীরিক ক্ষমতা ও গতির জেরেই বিপক্ষ খেলোয়াড়দের রুখে দেন মেন্ডেজ। ২০০২ সালে পর্তুগালের সিন্তারায় জন্ম এই ফুটবলারের।২০২০ তে মাত্র ১৮বছর বয়সে স্পোর্টিং সিপির হয়ে সিনিয়র ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২০২০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত এই ক্লাবে প্রিমিয়েরা লিগা , ট্যাকা দা লিগা ও সুপারট্যাকা জিতেছিলেন। এরই মাঝে লোনে যান পিএসজিতে। ২০২১ সালে পিএসজির হয়ে লিগ শিরোপা জেতা ছাড়াও হয়েছিলেন বেস্ট ইয়ং প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার। ২০২২ সালে বিশ্বকাপ থেকেই জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া শুরু তার। ২০২৪সালে ইউরোতে লুক্সেমবার্গের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে নামেন নুনো। তবে তার প্রতিভার ঝলক বিশ্ব দেখতে পায় ২০২৪সালে । যখন থেকে নেশনস লিগে ধারাবাহিকভাবে তিনি ভালো পারফরমেন্স করছিলেন। পর্তুগালের প্রায় প্রত্যেকটি গোলের পিছনেই তার অবদান ছিল অনস্বীকার্য। পিএসজির হয়ে এই মরশুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ছাড়াও ফ্রান্সের ঘরোয়া লিগ ওয়ান ও কুপ ডে ফ্রান্স ট্রফি জিতে ' ত্রিমুকুট ' জিতিয়েছেন নুনো। নেশনস লিগের ফাইনালে কুকুরেল্লা , ডিন হিউসেনদের অনভিজ্ঞ রক্ষণভাগই ডোবালো ডে ফুয়েন্টের দলকে। সেই অনভিজ্ঞতার জায়গাতেই বারংবার আঘাত হানছিলেন নুনো , রোনাল্ডোরা। প্রথমার্ধে নিকো উইলিয়ামস বাঁ দি থেকে বেশ ভয়ঙ্করভাবে আক্রমণ শানালেও দ্বিতীয়ার্ধে পর্তুগালের কোচ রবার্তো মার্টিনেজ নামান রাইট ব্যাক নেলসন সেমেডোকে । ব্যাস তাতেই নিকোর যাবতই কারিজুরি শেষ হয়ে যায়। ধীরে ধীরে মাঝমাঠের দখল নিতে থাকেন ভিটিনহারা। ৬১মিনিটে রোনাল্ডোর পা থেকেই আসে কাঙ্খিত সেই গোল। এরপর টাই ব্রেকারে স্নায়ুর চাপকে নিয়ন্ত্রণে রেখেই তৃতীয় আন্তর্জাতিক ট্রফি জেতে পর্তুগাল। মাত্র ২২বছর বয়সেই জাতীয় দলের হয়ে শিরোপা জেতেন নুনো মেন্ডেজ। এই মরশুমটা যেন এক রূপকথার মতই কাটছে তার জন্য।    

Comments :0

Login to leave a comment