উলুবেড়িয়া হাসপাতালের এক মহিলা জুনিয়র চিকিৎসক হেনস্থার ঘটনায় মোট ৩জনকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। মঙ্গলবার দুজনকে আগেই গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এই ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়ানোর হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিন সকালে হাসপাতলের বাইরে বিক্ষোভ সভা করে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স। কথা বলে আক্রান্ত জুনিয়র চিকিৎসকের সঙ্গেও।
উলুবেড়িয়ার শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসককে হেনস্থা করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, রোগী দেখাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হয়। জুনিয়র চিকিৎসকের উপর চড়াও হয় এবং তাঁকে শারীরিক ভাবে হেনস্তা করা হয়। তাঁকে ধর্ষনের হুমকি দেওয়া হয়। সেইসময় সেখানে কেউ উপস্থিত ছিল না, এমনকি কাউকে ডেকেও সাহায্য পাননি বলেই জানান তিনি।
এই ঘটনায় ধৃত শেখ সম্রাটকে তার শিশবেড়িয়ার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে সনাক্ত করেছে পুলিশ। এছাড়াও ট্রাফিক গার্ড ও হোম গার্ডকে আগেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালত তাদের তিনদিনের হেফাজত নেয় পুলিশ।
বুধবার চিকিৎসক মঞ্চ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স আক্রান্ত জুনিয়র চিকিৎসক সাথে দেখা করেন। ওই চিকিৎসক এখনও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে রয়েছেন। ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন যে ১০ থেকে ১২ তাঁকে ঘিরে ধরে হেনস্তা করে। পরে জানা গেছে তার মধ্যে কয়েকজন শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত। এদিনের প্রতিনিধি দলে ছিলেন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্সের দুই আহ্বায়ক ডাঃ পুণ্যব্রত গুণ ও ডাঃ হীরালাল কোনার। এছাড়াও ছিলেন চিকিৎসক আন্দলোনের নেতা ডাঃ সুকান্ত চক্রবর্তী, ডাঃ পবিত্র গোস্বামী সহ নেতৃবৃন্দ।
জেপিডি'র তরফ থেকে হাসপাতালের গেটে বিক্ষোভ সভা করে। কথা বলে হয় পুলিশের সঙ্গেও। পুলিশের তরফে তাদের আশ্বাস দেওয়া হয় সকল দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি ব্যবস্থা করা হবে। ঘটনার পরে হাসপাতালে পৌঁছায় জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টও। মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল, ভাইস প্রিন্সিপালের সাথে কথা বলেন তারা। জেপিডি'র সদস্য ডাঃ সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, "গোটা রাজ্যে লুম্পেনরাজ চলছে। কর্মস্থলে চিকিৎসকদের সুরক্ষা নেই। বারংবার এই ঘটনা দেখা যাচ্ছে। শাসক দল এই লুম্পেনদের সরাসরি মদত করছে। তাদের সাহায্য পেয়েই এত বাড়বাড়ন্ত এদের।"
Comments :0