salim on bjp

কলম কেড়ে নেওয়াতেও বিভাজন বিজেপি’র, খেদ সেলিমের

রাজ্য

বন্ধ হচ্ছে স্কুল, বন্ধ হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রাজ্যের পাশাপাশি গোটা দেশেই হচ্ছে। তাদের প্রত্যেকের জন্য কলম নিশ্চিত রা জরুরি। তার বদলে প্রতিটি বিষয়েই হিন্দু-মুসলিম বিভাজন করে বিজেপি।
বিজেপি’র সদ্য নিযুক্ত রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের মন্তব্যে এই মর্মে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।  
মহরমকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার শমীক ভট্টাচার্য বলেন যে যারা হাতে তরোয়াল নিয়ে ঘোরে তাদের হাতে কলম ধরাবো। তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় সেলিমকে। সেলিম বলেছেন, যারা ‘বজরঙ্গবলীর জয়’ বলে দল বেঁধে মারধর করে তাদের কি করবেন? তাঁদের হাতেও কলম ধরান। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কথা বলুন। 
সেলিমের প্রশ্ন, এখানে কত জন লোক তলোয়ার নিয়ে ঘোরে? কত জন ত্রিশূল নিয়ে ঘোরে? গোটা সরকারি স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, কলেজ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যেখানে কলম ধরানোর কথা, যেখানে শিক্ষা দেওয়ার কথা, সেই ব্যাপারে কোনও কথা বলছেন না  কেন? তাঁর খেদ, হিন্দু-মুসলিম বিভাজন বাদ দিয়ে রাজনীতির কথা বলেন না।  
এদিন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য নিয়েও পাল্টা আক্রমণ করেন সেলিম। তিনি তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির গ্রেপ্তারি দাবি করেন বলে প্রতিক্রিয়া চাওয় হয় সেলিমের থেকে। সেলিম বলেন, "অনেক দিন পর অভিষেকের নাম করলেন শুভেন্দু। এত দিন ভাবছিলেন সভাপতি হবেন রাজ্য বিজেপির। কিন্তু বিজেপি’র সভাপতি হতে হলে প্রথম শর্তই হলো অভিষেকের বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না। কারণ গাঁটছাড়া বাঁধা আছে। এখন বুঝতে পেরেছেন সভাপতি হবে না, তাই অনেক দিন পর নামটা উচ্চারণ করলেন।
আরেক প্রশ্নে আরজি কর থেকে ডেউচা-পাচামী, সব ক্ষেত্রে তৃণমূল বিজেপি’র যোগসাজশ নিয়ে সরব হন সেলিম। তিনি বলেন যে কালীঘাটের কাকুর কন্ঠস্বর ধরা পড়ল। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ওরা কিছু হলেই ইডি-সিবিআই দেখায়, তারপর বোঝাপড়া করে। তিনি বলেন, দেশের পরিবেশ আইন অমান্য করে ডেউচা-পাচামী প্রকল্প হচ্ছে। অথচ কেন্দ্র কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

Comments :0

Login to leave a comment