Biman Basu Book Stall

‘দিন বদলের বইওয়ালা’ উদ্বোধন করলেন বিমান বসু (দেখুন ভিডিও)

কলকাতা

আগামীর সঙ্গে। আমহার্স্ট স্ট্রিটে এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই’র উদ্যোগে বুক স্টলে বিমান বসু।

দীপাবলি উপলক্ষে আমহার্স্ট স্ট্রিটে পোস্ট অফিসের পাশে এসএফআই-ডিওয়াইএফআই'র উদ্যোগে শুরু হল বুক স্টল। কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য এবং মুক্তিকামী মানুষের নেতা ফিদেল কাস্ত্রোকে তাঁর জন্ম শতবার্ষিকীতে স্মরণ করে ছাত্র-যুবদের এই বুক স্টল ‘দিন বদলের বইওয়ালা’। 
শনিবার বুক স্টলের উদ্বোধন করেন এসএফআই প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বিমান বসু। উপস্থিত ছিলেন, অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টর্স'র রাজ্য সম্পাদক উৎপল ব্যানার্জি। এসএফআই কলকাতা জেলার সভাপতি বর্ণনা মুখার্জি, সংগঠনের প্রাক্তন জেলা সভাপতি অর্জুন রায় ও প্রাক্তন জেলা সম্পাদক সংগ্রাম চ্যাটার্জি উপস্থিত ছিলেন এ দিন।


এ বছর ২৩ বছরে পড়েছে এই বুক স্টল। দীপাবলি উৎসবকে কেন্দ্র করে গোটা কলকাতা জুড়েই একাধিক বুক স্টলের আয়োজন করেন ছাত্র-যুবরা। প্রতি বছরই এই বুক স্টলে এসে ছাত্র যুবদের উদ্বুদ্ধ করেন বিমান বসু।
বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পাঁচদিন ধরে চলবে ছাত্র-যুবদের ‘দিনবদলের বইওয়ালা’। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্যুইজ, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে যুক্তিবাদী মনন গড়ার লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের অনুষ্ঠান চলবে। সমসাময়িক দেশ তথা গোটা বিশ্বের সামাজিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে এই বুকস্টলের মাধ্যমে জনসাধারণের সমক্ষে রাখার উদ্যোগ নিয়েছেন ছাত্র-যুবরা। শিক্ষা-কাজ-নিরাপত্তা, ভালোভাবে বাঁচার কথাকে সামনে রাখা হয়েছে বই এর মাধ্যমে। মার্কসীয় প্রগতিশীল বইয়ের পাশাপাশি রয়েছে সাধারণ সাহিত্যের বই, ছোটদের বই এবং ভিন্ন স্বাদের নানা বইয়ের সম্ভার রাখা হয়েছে স্টলে। 
বই বিপণনের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বন্যাকবলিত মানুষদের সাহায্যার্থে ত্রাণ সংগ্রহও করছে ছাত্র-যুবরা। বন্দোবস্ত করেছে ‘ডোনেশন বক্স’-র। কলেজ স্ট্রিট বইপাড়ায় গুরুতর ক্ষতি হয়েছে বৃষ্টি এবং জল জমার কারণে। সেখানেও পৌঁছে দেওয়া হবে সহায়তা।
এদিন উদ্বোধনী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিমান বসু। তিনি বলেন, ‘‘বই পড়ার প্রাসঙ্গিকতা কোন দিনও লুপ্ত হবার নয়।  বর্তমান ডিজিটাল মিডিয়ার প্রচলনেও মানুষজন পিডিএফ থেকে প্রিন্ট করিয়ে  তাকে বাঁধিয়ে পড়াশোনা করছে। সুতরাং যতই দিন যাক বই পড়ার প্রাসঙ্গিকতা কমবে না । কারণ মনের চাহিদা জোগানের জন্য প্রয়োজন পড়াশোনার।’’ 
বিমান বসু ছাত্র-যুবদের উদ্দেশ্যে বলেন, এলাকায় ঘুরে বাড়ি বাড়ি কথা বলে জানতে হবে কার কোন বই প্রয়োজন। মানুষ এখনও অনেক বই খুঁজেও পান না। অথবা বই জোগাড় করে পড়ার পরিস্থিতিতে থাকেন না। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে তাদের হাতে সেই বই পৌঁছে দেবার কথা বলেন তিনি।

Comments :0

Login to leave a comment