দীর্ঘ প্রায় ১৫দিন যাবৎ বন্ধ কোচবিহার পৌরসভা নিয়ন্ত্রিত রবীন্দ্রনাথ রায় মহাশ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লি। শ্মশানে মৃতদেহ দাহ করতে গিয়ে চরম বিপাকের মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। তৃণমূল পরিচালিত কোচবিহার পৌরসভার এই উদাসীনতায় ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ।
নয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে কংগ্রেস পরিচালিত কোচবিহার পৌরসভার পৌর প্রধান ছিলেন বীরেন কুন্ডু। এই সময়কালে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের আর্থিক সহযোগিতায় এই শহরের ১০নং ওয়ার্ডে মরা তোর্ষা নদীর পাড়ের প্রাচীন এই শ্মশানটি পায় নতুন রূপ। শ্মশান সৌন্দর্য্যায়নের পাশাপাশি এই শ্মশানে স্থাপিত হয় বৈদ্যুতিন চুল্লি। যা আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হয় তৎকালীন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যের হাত দিয়ে। মৃতদেহের অন্তিম সংস্কার করাটা অত্যন্ত সহজ বিষয় হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষের কাছে।
বৃক্ষছেদনের ক্ষেত্রে বনদপ্তরের নানাবিধ নিষেধাজ্ঞায় বর্তমান সময়ে জ্বালানি কাঠের আকাল। যেটুকু জ্বালানি কাঠ বিক্রি হয়, তার মূল্য আকাশ ছোঁয়া। এই বৈদ্যুতিক চুল্লি দুটি বিকল হয়ে পড়ে থাকায় বাধ্য হয়েই চড়া দামে জ্বালানি কাঠ কিনে শব দেহের অন্তিম সংস্কার করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। শুধু তাই নয়, একসময় অন্যান্য শ্মশানের মত কোচবিহার শহরের এই শ্মশানেও থাকতেন ডোম সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ। চিতা সাজানোর ক্ষেত্রে তাঁরাই সাহায্য করতেন। কিন্তু কালের বিবর্তনে এই অংশের মানুষদের আর দেখা মেলে না শ্মশানে। আর তাই চিতা সাজিয়ে মৃতদেহ দাহ করবার ক্ষেত্রেও এক ভয়াবহ ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয় এই শ্মশানে শবদেহ নিয়ে আসা সাধারণ মানুষদের।
পৌরসভা সূত্রে খবর, দীপাবলির পর এই বৈদ্যুতিক চুল্লি সংস্কার করার কাজ শুরু হবে। কিন্তু কেন পৌরসভার এই দীর্ঘসূত্রিতা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ।
Comments :0