বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গড়িয়ে চলেছে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। গ্ৰুপ পর্যায়ে ম্যাচের শেষে শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে এই প্রতিযোগিতার শেষ ষোলোর ম্যাচ। তবে ফুটবলে কম জনপ্রিয় এই দেশে এতো বড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হলেও বহু স্টেডিয়ামে দেখা মিলেছে প্রায় শূন্য দর্শকাসন। ফলে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে যে ফুটবল থেকে কি ধীরে ধীরে আগ্রহ হারাচ্ছে আমেরিকানবাসী। একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী গ্ৰুপ পর্যায়ের শেষে প্রায় ১০লক্ষেরও বেশি দর্শকাসন শূন্য দেখা গিয়েছে। এর থেকেই আশংকা তৈরী হয়েছে আগামী ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে। বিশ্বকাপে ৪৮টি দলকে ভাগ করা হয়েছে মোট ১৬টি গ্ৰুপে। তিনটি দেশের এই ১৬টি শহর প্রায় ৫৬.৭ শতাংশ জনবহুল শহর। প্রত্যেকটি গ্ৰুপে থাকবে মোট ৩টি করে দল। এদের মধ্যে গড়ে আমেরিকার অর্ল্যান্ডো সিটিতে ৩৪১২ থেকে ৬৭৩০ এবং চিনচিনাটিতে ৫২৮২ থেকে ৮২৩৯ -র মতো জনবহুলতা রয়েছে। আপাতত নিউ ইয়র্কের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে মোট ৫টি ম্যাচ হয়েছে। সেখানে প্রায় ৪৪.৯ শতাংশ দর্শক খেলা দেখতে এসেছে। এই স্টেডিয়ামেই আগামী বছর বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে। মেটলাইফ ছাড়াও মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে ৮১.৮ শতাংশ। ফিলাডেলফিয়াতে ৬১.৬শতাংশ , ৫২শতাংশ সিয়াটেল এবং ৪৪.৩শতাংশ আটলান্টায় দর্শকের উপস্থিতি ছিল। দর্শকের উপস্থিতি সম্পর্কে ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো এবিষয়ে ফিফার মুখপাত্র ব্রায়ান সোয়ানসনের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইলে তিনি সেই ব্যাপারে সারা দেননি। যদিও পরে ফিফার তরফ থেকে জানানো হয়েছিল যে , প্রায় ১৬৮দেশ থেকে মানুষ ইতিমধ্যেই সব ম্যাচের টিকিট সংগ্রহ করেছে। ফলে এই প্রতিযোগিতা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের কোনো সমস্যা হয়নি। আগামী বছর খোলনলচে বদলে একেবারে নতুনভাবে বিশ্বকাপ শুরু হতে চলেছে। খাতায় কলমে যাই হোক না কেন। আমেরিকাতে দর্শকদের অনুপস্থিতি ফুটবলের প্রতি অনাগ্রহেরই প্রমাণ দিচ্ছে । যা নিয়ে এবার আশংকার দানা বাঁধছে ফুটবলপ্রেমীদের মনে।
FIFA CLUB WORLD CUP
ক্লাব বিশ্বকাপে দর্শকাসনের শূন্যতায় আশংকা এবার বিশ্বকাপ নিয়ে

×
Comments :0