Women's World Cup final

আজ বিশ্ব জয়ের হাতছানি ভারতের সামনে

খেলা

২০০৫, ২০১৭-র পর ফের ফাইনালে ভারত। তবে, দু’বারই তফাৎ থেকে গিয়েছিল ট্রফি আর ঠোঁটের। এবার ঘরের মাঠে সেই ব্যবধান মিলিয়ে নেওয়ার সুযোগ হরমনপ্রীত কাউর, স্মৃতি মান্ধানা, জেমাইমা রড্রিগেজ, রিচা ঘোষদের কাছে। এর আগে ১৯৯৮, ১৯৯৭ ও ২০১৩ সালে দেশের মাঠে বিশ্বকাপ খেলতে নেমেছিল ভারত। কোনোবারই এই সফলতা আসেনি। তাও এবার পুষিয়ে নেওয়ার পালা। রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারালেই নতুন ইতিহাস লিখবেন তাঁরা। এদিকে, প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠা প্রোটিয়াদের সামনেও একই সুযোগ। 
২০১৭ ফাইনালে রানার্স হওয়া দলের তিন সদস্য হরমনপ্রীত, স্মৃতি ও দিপ্তী শর্মা এই দলে আছনে।  তাঁরা জানেন হারের যন্ত্রণা।  ফাইনালে নামার আগে আত্মবিশ্বাসী হরমনপ্রীত শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘আমরা জানি হারার অনুভূতি কেমন। কিন্তু এখন আমরা জয়ের অনুভূতি পেতে চাই। আশা করি আগামীকাল আমাদের জন্য বিশেষ দিন হবে।’ ভারতীয় অধিনায়ক আরও বলেন, ‘আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি, এখন শুধু দলের জন্য সবটুকু উজাড় করে দেওয়ার পালা। আমরা যখনই নিজেদের খেলা উপভোগ করেছি, নিজেদের সেরাটা দিয়েছি, তখনই ইতিবাচক ফল এসেছে। এটা দলের জন্য গর্বের মুহূর্ত। আমি নিশ্চিত, গোটা দেশও গর্বিত আমাদের শেষ দুই ম্যাচের পারফরম্যান্স দেখে।’
মাঝের তিন ম্যাচ হারের পর ফের ঘুরে দাঁড়িয়ে ফাইনালে পৌঁছেছে ভারত। সেই প্রসঙ্গে হরমনপ্রীত বলেন, ‘সেই সময় আমরা একবারও দলের মধ্যে কোনও অস্থিরতা তৈরি হতে দিইনি। আমরা জানতাম, এখনও ফাইনালে ওঠার সুযোগ আছে। এই ইতিবাচক মানসিকতাই আমাদের ফাইনালে পৌঁছে দিয়েছে। যখন দলের সবাই দেশের জন্য খেলতে চায় এবং বিশ্বকাপ জিততে চায়, তখনই এমন ফল আসে।’ তাঁর সংযোজন, হরমন বলেন, ‘আমরা অবশ্যই আলোচনা করেছি কোন দিকগুলো উন্নত করতে হবে, কিন্তু সবাই একই লক্ষ্যে মনোনিবেশ করেছিল। ফাইনালে পৌঁছানো একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। এখানে উত্থান-পতন থাকে। কেউ জেতে, কেউ হারে, কিন্তু দিনের শেষে আসল বিষয় হলো শেষ পর্যন্ত পৌঁছানো।’
শেষ দু’বছর ভারতীয় দলের পারফরমেন্স নজর কেড়েছে। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে হরমনপ্রীত বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে আমরা নিজেদের এমনভাবে প্রস্তুত করেছি যাতে যে কোনও পরিস্থিতিতে লড়াই করতে পারি। এখন শুধু সবকিছু একসাথে এসে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়ার ব্যাপার। এখন সামনে বিশ্বকাপ ফাইনাল, এটাই সব চেয়ে বড় ব্যাপার। দল পুরোপুরি চার্জড আপ, প্রত্যেকে একে অপরকে সমর্থন করছে, যা প্রমাণ করে আমরা কতটা প্রস্তুত। আমরা অনেক আগেই জানতাম যে বিশ্বকাপ ভারতে হবে, তাই এখন শুধু ১০০ শতাংশ দেওয়াই লক্ষ্য।’
সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় তুলতে পারেনি ভারত। এবারও গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে হারের সম্মুখিন হতে হয়েছে।  শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র দু’ম্যাচ হেরে শেষ চারের যোগ্যতা অর্জন করেছিল। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে দুরমুশ হওয়া দল সেমিফাইনালে অধিনায়ক লরা উলভার্টের ব্যাট ও মার্জিন কাপের বলের যুগলবন্দিতে উড়িয়ে দিয়েছে চারবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে। প্রোটিয়াদের প্রশংসা করেন হরমনপ্রীত বলেন, ‘নিশ্চয়ই ওরা দারুণ ক্রিকেট খেলছে। শুরুটা ভালো না হলেও ওরা যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সেটা সত্যিই দারুণ। ওদের দল বেশ ভারসাম্যপূর্ণ। আমরা জানি, ওদের বোলিং আক্রমণ শক্তিশালী, একইসঙ্গে ব্যাটিং লাইনআপেও গভীরতা আছে।’
নতুন চ্যাম্পিয়ন দল পাওয়া নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে হরমন বলেন, ‘এটা সত্যিই ভালো যে এবার দুটো নতুন দল মুখোমুখি হচ্ছে। আমরা বহু বছর ধরে অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্ব ক্রিকেটে আধিপত্য করতে দেখেছি, ইংল্যান্ডও সেই অবস্থানে ছিল। এবার উত্তেজনা একেবারেই অন্যরকম।’ 
এবছরই মহিলা অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছে ভারত। ছোটরা পেরেছিল, এখন বড়দের সামনে পরীক্ষা।  
ভারত:দক্ষিণ আফ্রিকা
ম্যাচ শুরু দুপুর ৩টে

Comments :0

Login to leave a comment