সিগন্যাল ব্যবস্থায় ত্রুটি ছিল। এ সংক্রান্ত নির্দেশিকায় ত্রুটি ছিল রেলের। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় রেলকে দায়ী করে এই মর্মে রিপোর্ট দিল রেলের সুরক্ষা কমিশন।
চলতি বছরের ১৩ জুন আগরতলা থেকে শিয়ালদহ গামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে ধাক্কা মারে একটি পণ্যবাহী মালগাড়ি। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে এই ট্রেন দুর্ঘটনায় গার্ড সহ ১০ জনের মৃত্যু হয়। কমপক্ষে ৪৩ জন আহত হন। 
দুর্ঘটনার পরই ধরা পড়েছিল যে অটোম্যাটিক সিগনাল ব্যবস্থা খারাপ ছিল। রেল যদিও গোড়া থেকেই কেবলমাত্র চালক, গার্ড এবং স্টেশন ম্যানেজারকে দায়ী করে আসছিল। তার প্রতিবাদও জানায় রেলকর্মী সংগঠন থেকে নাগরিক মহল। সুরক্ষা রিপোর্টে প্রধানত দায়ী করা হয়েছে রেলের প্রশাসনিক অব্যবস্থাকেই।
রেলের নিরাপত্তা কমিশনে রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। বলা হয়েছে, "ত্রুটিপূর্ণ স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থাকে চালু করার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। অনুমোদনের এই প্রক্রিয়াতেও গলদ রয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।’’
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম (ওয়াকি-টকি) ছিল না। লোকো পাইলট ও স্টেশন মাস্টারদের পর্যাপ্ত  মাত্রায় কাউন্সেলিং করা হয়নি। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা"।
তবে রিপোর্টে বলা হয়েছে যে রাঙাপানি স্টেশনের স্টেশন মাস্টার, প্রধান লোকো ইন্সপেক্টর ও নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টরও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। 
ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য সতর্কতার ব্যবস্থাও জানিয়েছে সুরক্ষা কমিশন। 
বলা হয়েছে, "ওয়াকি-টকির ঘাটতি মেটাতে হবে। 'কবচ' সুরক্ষা ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করতে হবে। স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল গুলিতে ব্যাপক সিগন্যালিং ব্যর্থতা দেখা যাচ্ছে। যাত্রীবাহী ট্রেন গুলিতে শেষের দুটি কামরায় সংঘাত সহনীয় ব্যবস্থা থাকা খুবই জরুরি।
Kanchenjunga rail accident
কাঞ্চনজঙ্ঘা রেল দুর্ঘটনা: সুরক্ষা কমিশনের রিপোর্টে কাঠগড়ায় সিগন্যালিং, ওয়াকিটকিও
 
                                    
                                
                                    ×
                                    ![]() 
                                
                                                         
                                         
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                    
Comments :0