SSC PROTEST

বিজেপি’র প্ররোচনাকে হারিয়ে শিক্ষক নিপীড়নের প্রতিবাদ কলেজ স্ট্রিটে

রাজ্য কলকাতা

শিক্ষকদের নিপীড়নের প্রতিবাদে শুরু হলো বিক্ষোভ সভা। দুর্নীতির জন্য দায়ী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখার ঘোষণা করেছে সভা।
সভার আগে কলেজ স্ট্রিট মিছিল করে বিজেপি। কিন্তু মিছিল অপারেশন সিন্দুর নিয়ে থাকলেও বিক্ষোভ দেখিয়েছে বামপন্থীদের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের দালাল থেকে দেশদ্রোহী, তুমুল প্ররোচনা, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি চলতে থাকে। সেসব সত্ত্বেও হচ্ছে মিছিল। বোতল ছুঁড়ে মারে দুজন আহত হন।
শিক্ষক নেতা বিপ্লব তিলক বলেন, ২০১৬ তে প্রশ্ন উঠেছিল। সরকার, কমিশন উত্তর দিলে আজ এই বিপর্যয় হতো না। আদালত বারবার যোগ্য অযোগ্য তালিকা চেয়েছে। দেওয়া হয়নি। আসলে রাজ্য মন্ত্রীসভা সিদ্ধান্ত করেছিল বেআইনি নিয়োগ হবে। কারন তৃণমূল টাকা তুলেছিল। 
২৬ হাজার চাকরি গেলো। চাকরি হারানোদের যন্ত্রণা রয়েছে। ২২ লক্ষ পরীক্ষা দিয়েছিল। তাদের মধ্যেও যোগ্য রা বঞ্চিত। রাজ্যের মানুষ তাদেরও যন্ত্রণা বুঝছে। 
এই পরীক্ষার্থীরা মামলা করেছিলেন। বিকাশ ভট্টাচার্য লড়েছিলেন। আজকে আইনি লড়াইকে দায়ী করে দুর্নীতির দায় সরাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। 
শিক্ষক নেতা বিপ্লব তিলক বলেছেন, বিকাশ ভবনের সামনে প্রতিবাদ দেখিয়েছে অন্যায়কে আড়াল করা যাবে না। 
এই প্রতিবাদ প্রথম নয়। জালিয়াতির বিরুদ্ধে রাস্তায় দিনের পর দিন পরীক্ষার্থীরা বসেছিলেন। বারবার তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে পুলিশ। 
কলতান বলেন, ওএমআর শীট দাখিল করেনি কমিশন। আদালতে দেয়নি। এই ষড়যন্ত্রে শামিল আজকের বিজেপি দলনেতা। কারণ তিনি তখন রাজ্যের তৃণমুল সরকারের মন্ত্রী। তিনিও এই দুর্নীতিতে দায়ী।
এবিটিএ কলকাতা জেলা সম্পাদক উজ্জ্বল চক্রবর্তী বলেন যে বামফ্রন্ট সরকারের সময় এসএসসি দশবার পরীক্ষা হয়েছে। কখনও এমন অভিযোগ ওঠেনি। ১ লক্ষ ৪০ হাজার চাকরি পেয়েছেন। নিয়মিত নিয়োগ হচ্ছে। আর তৃণমুল সরকার পরিকল্পনা করে দুর্নীতির জন্য দায়ী। 
কলতান বলেছেন, দেশপ্রেমের নামে বিভাজন ছড়ানো ছাড়া বিজেপির আর কোনো উপায় নেই। কারণ দুর্নীতিতে ওরা দায়ী। আজ এরা আমাদের দেশদ্রোহী বলছে। বাস্তবে আরএসএস স্বাধীনতা আন্দোলনে কোনো ভূমিকা নেয়নি। আসলে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদকে এরা ভয় পায়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সভায় এই জন্য ওদের এত আপত্তি।
বিজেপির বিক্ষোভের কারণে এই সভা শুরু করতে দেরি হয়।

Comments :0

Login to leave a comment