USA Warships Venezuela

আমেরিকার নৌবাহিনী উপকূলে, সর্বাত্মক প্রতিরোধে ভেনেজুয়েলা

আন্তর্জাতিক

অসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীতে নাম লেখাতে ভিড় ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের।

আমেরিকার যুদ্ধ জাহাজকে ভয় পাচ্ছে না ভেনেজুয়েলা। প্রতিরক্ষা বাহিনীতে নাগরিকদের যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রপতি। যুবদের পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত সক্ষমরা নাম লেখাচ্ছেন দেশরক্ষার লড়াইয়ে। বড় সংখ্যায় নাম লেখাচ্ছেন মহিলারা।  
নিষিদ্ধ মাদক চক্র রোধের নামে ভেনেজুয়েলার সমুদ্র উপকূলে একাধিক যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে আমেরিকা। ৪ হাজারের বেশি মার্কিন নৌসেনাকে মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেদেশের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে। 
মাদুরো এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনায় বলেছেন, ভেনেজুয়েলার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা। নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। সাম্রাজ্যবাদ এবং আমেরিকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সচেতন ভেনেজুয়েলার মানুষ। প্রাকৃতিক তেল, গ্যাসে সমৃদ্ধ। ভেনেজুয়েলাকে পদানত করতে চাইছেন ট্রাম্প সব শক্তি দিয়ে সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে ভেনেজুয়েলা। 
ভেনেজুয়েলার অবস্থানকে সমর্থন জানিয়েছে চীন।
ভেনেজুয়েলা জানিয়েছে দেশের সামরিক বাহিনীর প্রায় সাড়ে চার লক্ষ সদস্য দেশের সব প্রান্তে সতর্ক রয়েছেন। স্লোগান উঠেছে প্রয়াত হুগো সাভেজের নামে। বলা হয়েছে ‘স্যাভেজ জীবিত, তাঁর লড়াই জীবিত’। 
আমেরিকা কেবল সেনাই পাঠায়নি। ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরোকে ড্রাগ চক্রের মদতদাতা ঘোষণা করে মাথার দাম দ্বিগুন ৫ কোটি ডলার ঘোষণা করেছে। 
মাদুরো দেশের আইনসভায় বলেছেন, ‘‘আমেরিকা চাইছে সামরিক শক্তির জোরে ভেনেজুয়েলার শাসন বদলে দিতে। দুনিয়ার দেশে দেশে ওরা তা করেছে। সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে সন্ত্রাসবাদে। অনৈতিক, বেআইনি এবং অপরাধমূলক এই আগ্রাসন মেনে নেওয়ার প্রশ্ন নেই।’’

Comments :0

Login to leave a comment