বর্ধমান স্টেশনে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে জখম হওয়া এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মৃতার নাম অপর্ণা মণ্ডল (৫০)। হুগলির উত্তরপাড়া এলাকায় তাঁর বাড়ি। সোমবার সকালে তিনি মারা যান। এদিনই বর্ধমান মেডিকেল কলেজের মর্গে মৃতদেহের ময়না তদন্ত হয়। মহিলার মৃত্যু নিয়ে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে বর্ধমান থানা।
উল্লেখ্য, গত ১২ অক্টোবর বর্ধমান স্টেশনের ৪ ও ৫ নম্বর প্লাটফের্ম ওঠা-নামা করার সময় ভিড়ের চাপে ও হুড়োহুড়িতে প্রায় ৩০জন যাত্রী জখম হন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৭জনকে। তার মধ্যে চারজনকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ভর্তি থাকা অপর তিনজনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মৃতার জামাতা সুভাষ মণ্ডল বলেন, "শাশুড়ি বর্ধমান শহরের নীলপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলেন। ঘটনার দিন উত্তরপাড়া ফেরার জন্য ট্রেন ধরতে তিনি বর্ধমান স্টেশনে আসেন। হুড়োহুড়িতে তিনি পদপিষ্ট হন।"
নামেই মডেল স্টেশন। বর্ধমান স্টেশন এখন যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের। গত রবিবার যে পদপিষ্ট হবার ঘটনা ঘটেছে সেটা নতুন কিছু নয়। নিত্যদিন ঘটে থাকে। এই ভাবে এক সাথে ৩-৪ ট্রেন প্লাটফর্মে ঢুকে যাবার কারনে যাত্রীদের চিড়েচ্যাপ্টা হয়েই ট্রেন ধরতে হয় বা বাড়ি ফিরতে হয়। অভিযোগ বহু মহিলা যাত্রীর শ্লীলতাহানিও ঘটে। বর্ধমান স্টেশনে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে গেলেও রেল কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। রবিবার যদি এত ভীড়ের চাপ থাকে তাহলে সপ্তাহের বাকি দিন কেমন থাকে বর্ধমান স্টেশনে একটু ভেবে দেখার দরকার আছে। রেলের গাফিলতির কারনে একজজন যাত্রীর প্রাণ গেলো।
এর আগেও বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্রাঙ্ক ভেঙ্গে পড়ে। ৩জনের মৃত্যু হয়। এছাড়াও বর্ধমান স্টেশনের প্রবেশ পথের বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়েছিল। প্রাণ হারিয়েছিলেন ১জন যাত্রী, আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। তার আগে ওভারব্রীজ ভেঙ্গেও আহত হন অনেক যাত্রী। প্রতিবারই রেলের কর্তারা প্রতিশ্রুতি দেন যাত্রী সুরক্ষায় বেশি নজর দেবে রেল কিন্তু আদৌ কী তা হয়?
Comments :0