জুয়েলারির দোকানে বিপণনের কাজ করতেন। দোকানে গোলমাল চলছিল। মঙ্গলবার স্বামীকে জানান যে কাজ আর নেই। কিছু পরেই গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন যুবতী।
চন্দননগর বৌ বাজার বটতলার বাসিন্দা বছর পঁচিশের মানালী ঘোষের লেখা সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সুইসাইড নোটে জুয়েলারি দোকান কর্তৃপক্ষকে দায়ী করা হয়েছে।
অভিযোগ, চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন বলে তাঁকে দিয়ে জোর করে লিখিয়ে নিয়েছিল দোকান কর্তৃপক্ষ।
মানালী গত তিন বছর ধরে চন্দননগর বাগবাজারে জিটি রোডের পাশের একটি জুয়েলারি দোকানে সেলস গার্লের কাজ করতেন। যুবতীর পরিবার জানিয়েছে গত তিনদিন ধরে কর্মস্থলে কোনো সমস্যা দেখা দেয়। স্থানীয়রা জানান একদিন দোকানের বাইরে তাঁকে কান্নাকাটি করতে দেখা যায়।
মঙ্গলবার সকালেও কাজে এসেছিলেন যুবতী। চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন বলে তাঁকে লিখিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
মানালী দোকান থেকে বেরিয়ে তাঁর স্বামী সত্যজিৎকে ফোন করেন। চন্দননগর স্ট্যান্ডে গিয়ে কিছুক্ষণ বসেছিলেন। তারপর সুইসাইড নোট লিখে মোবাইল চাপা দিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
চন্দননগর থানার পুলিশ খবর পেয়ে গঙ্গায় তল্লাশি শুরু করে। নামানো হয় ডুবুরি স্পিডবোট।
পুলিশ জানিয়েছে, যেখানে কাজ করতেন সেই দোকান কর্তৃপক্ষকে দায়ী করা হয়েছে সুইসাইড নোটে। তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোকানে গিয়ে অন্যান্য কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
মানালীর বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়েছে তিন বছর আগে। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই আত্মঘাতী হলেন তিনি।
যুবতীর ভাসুর শুভজিৎ রায় বলেন, দোকানে কোন একটা সমস্যা চলছিল। তবে সেটা ঠিক কি আমরা বলতে পারব না। মঙ্গলবার সকালে দোকানে ঝামেলা হয়। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে যায়। ভাই কে ফোন করে জানিয়েছিল এই দোকানের কাজটা আর নেই। ভাই একটি কারখানায় কাজ করে। চন্দননগর স্ট্যান্ডে মানালিকে বসতে বলে সে যখন পৌঁছায়, গিয়ে দেখে যা হবার তা হয়ে গেছে।
Young woman commits suicide in Chandannagar
কাজ ছাড়ার চিঠি লিখতে বাধ্য হওয়ার পর চন্দননগরে আত্মঘাতী যুবতী

×
Comments :0