Gaza

মৃত্যু ৬৮ হাজার ছাড়িয়ে, গাজায় কঠিন প্রশ্নের মুখে জীবন

আন্তর্জাতিক

গাজায় ইজরায়েলের হামলায় প্যলেস্তিনীয়দের মৃত্যুর সংখ্যা ৬৮ হাজার ছাড়িয়েছে। শনিবার এই তথ্য দিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য দপ্তর।
বহু প্যালেস্তিনীয়ের রক্ত ঝরানোর পর হামলা আপাতত থামলেও রোজকার বহু সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে গাজার বাসিন্দাদের।
১০ অক্টোবর সংঘর্ষবিরতির পর থেকেই গাজার বহু বাসিন্দা নিজেদের ঘরে ফেরার চেষ্টা করছেন। তবে সেখানে ফেরা প্রায় অসম্ভব বলেই মনে করছেন তাঁরা। এই অবস্থায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, যুদ্ধের সময় যাঁরা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন তাঁদের জন্য কি যুদ্ধ আদৌ শেষ হয়েছে?
প্যালেস্তাইনের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে বহু গৃহহীন মানুষ ভিড় জমিয়েছেন। তাঁদেরই একজন বাসিল নাগ্গার কথায়, ‘যে তাঁবুতে থাকছি তাও ক্রমশ জীর্ণ হয়ে আসছে। পূর্ব খান ইউনিসে নিজেদের বাড়ি পুড়ে গিয়েছে। ‌ফলে এই শীতে  কী অবস্থা হবে তাই নিয়েই চিন্তা‌।’’
উপকূলীয় এলাকায় যাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা মূলত ক্যানে ভরা খাবার দিয়েই চালাতে হচ্ছে। অবশ্য প্রয়োজনের তুলনায় খাবার নেই। 
এরই মধ্যে, বন্দি বিনিময়ে হামাস দেরি করছে বলে অভিযোগ ‌জানিয়ে আবার ত্রাণের ট্রাক আটকানোর হুমকি দিয়েছে ইজরায়েল। 
যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী , প্রতিদিন ১০০ টি করে ত্রাণবাহী ট্রাক ঢোকার কথা গাজায় । তবে এই বিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি ইজরায়েলের সেনা।
যুদ্ধবিরতির পরেও গাজার পরিস্থিতি খুব একটা স্বাভাবিক হয়নি।  নাগরিক দৈনন্দিন বিভিন্ন সমস্যার সাথে সাথে জলের সমস্যাও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠেছে। প্রায় এক ঘন্টার ও বেশি সময় হেঁটে আসতে হচ্ছে বাসিন্দাদের পানীয় জলের জন্য।
যুদ্ধের ফলস্বরূপ গাজার শিশুদের ভবিষ্যত প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। আপাতত পড়াশোনা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অতি দ্রুত যে এই সমস্যার সমধান মিলবে কতটা, তা নিয়েও সন্দিহান তাঁরা।
এক বাসিন্দার কথায়, ‘আমি চাই না আমার শিশুর ভবিষ্যত এমন হোক, যেখানে লঙ্গরখানার থেকে খাবার জোগার করতে হয়। যেখানে মাইলের পর মাইল হাঁটতে হয় একটু পানীয় জলের জন্য।’

Comments :0

Login to leave a comment