প্রাপ্তবয়স্ক দু’ই ব্যক্তি নিজেদের বিয়ের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নেবেন। এই অধিকার রয়েছে সংবিধানে। তাদের বিয়ের সিদ্ধান্তে বাধা দেওয়ার কাজ পুলিশের নয়।
উত্তর প্রদেশের পুলিশকে কড়া ভর্ৎসনা করে এই মন্তব্য করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। বিজেপি শাসিত অন্য রাজ্যগুলির মতো উত্তর প্রদেশের পুলিশও বাড়ির অমতে বিয়ের ঘটনায় অতি তৎপর থাকে।
একুশ বছরের নাজিয়া আনসারি এলাহাবাদ হাইকোর্টে দায়ের করেছিলেন অভিযোগ। তিনি জানান যে নিজের পছন্দে মহম্মদ উমরকে বিয়ে করেন তিনি। পরিবারের আপত্তি ছিল। ফলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বিয়ে করতে হয়। পুলিশ তাঁকে ধরে কাকা হাতে তুলে দেয়। পুলিশকে তিনি জানিয়েছিলেন কাকার কাছে ফিরে যাওয়ায় প্রাণের আশঙ্কা আছে।
নাজিয়া জানিয়েছেন যে এ বছরের ৮ এপ্রিল বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। হায়দরাবাদে গিয়ে উমরের সঙ্গে ছিলেন।
হাইকোর্ট বলেছে, ‘‘এই ঘটনায় দুই প্রাপ্তবয়স্ক নিজেদের মতে বিয়ে করেছে। সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী এই অধিকার দেশের প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে। এখানে অভিযোগ যিনি জানিয়েছেন বয়স তাঁর আঠারোর বেশি। তাঁরা যদি বিয়ে না-ও করতেন, তাঁদের একসঙ্গে যাওয়ার বা থাকার ক্ষেত্রে কেউ আপত্তি তুলতে পারে না।’’
উত্তর প্রদেশ পুলিশের তৎপরতায় খেদ জানিয়ে হাইকোর্ট বলেছে, ‘‘নাজিয়াকে তুলে দেওয়া হয়েছে এমন একজনের হাতে যেখানে প্রাণের আশঙ্কা পর্যন্ত তিনি জানিয়েছিলেন।’’
ALLAHABAD HC
নিজের পছন্দে বিয়ের অধিকার আছে, পুলিশকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

×
মন্তব্যসমূহ :0