ধুপগুড়ির মানুষ ফিরিয়ে দিয়েছে রাজ্যের বিরোধী নেতাদের। গোটা উত্তরবঙ্গে বিক্ষুব্ধ মানুষের রোষের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাদের। ফিরিয়ে দিয়েছে তাদের ত্রাণও। অন্যদিকে শাসকদল তৃণমূলের নেতামন্ত্রীর দেখা নেই। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীও গন্ডি পেরিয়ে বিপর্যস্ত গ্রামের প্রবেশ করেননি। সেখানকার এমন বহু এলাকায় পৌঁছায়নি সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা। সেই প্রত্যন্ত এলাকায় হাজির হয়েছে রাজ্য এসএফআইএর মেডিক্যাল টিম। দিনে ১০০ কাছাকাছি মানুষ সেই পরিষেবা নিতে যাচ্ছেন ক্যাম্পে। রয়েছে ত্রাণ বিতরণের বন্দোবস্তও।
রাজ্যের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ডাক্তারি পড়ুয়ারা গিয়েছেন দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার। উত্তরবঙ্গের চার জেলায় গত দুদিন ধরে চলছে মেডিকেল ক্যাম্প। কোচবিহারে মাথাভাঙার কেদারহাটে কাঁছাখাওয়া গ্রামে চলছে দুর্গতদের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান। ডাক্তারের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে এয়ং সভাপতি প্রণয় কার্য্যী। উত্তরের জেলাগুলোর বিপর্যস্ত অঞ্চলের মধ্যে অন্যতম জলপাইগুড়ি জেলা। জেলার বাসুসুবা (দোমোহনা) অঞ্চলে চলছে মেডিক্যাল ক্যাম্প। জেলা সম্পাদক সাব্বির এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শুভজিৎ সরকার। দার্জিলিঙয়ের পোড়াঝারে রাধাগোবিন্দ পল্লী, আলিপুরদুয়ারে শালকুমারেও দিনভর চলে ক্যাম্প। দিনে প্রায় একশ জনের কাছাকাছি ক্যাম্পে আসছেন বলে জানিয়েছে এসএফআই। মূলত জলবাহিত রোগ, চর্ম রোগ এবং জ্বর-সর্দি-কাশি বেশি দেখা গেছে। প্রতিনিধিদল জানিয়েছেন প্রায় প্রত্যেক শিশুই জ্বর সর্দিতে ভুগছে। এমন কিছু এলাকা আছে যেখান থেকে সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দুরত্ব প্রায় ৫০ কিমি। ফলে বন্যার্ত মানুষগুলি অসহায়তায় কোনরকমে দিন গুজরান করছেন সেখানে। ছাত্রপ্রতিনিধিরা স্বাস্থ্যপরিষেবার সঙ্গে ত্রানেরও বন্দোবস্ত করেছেন। লেখাপড়ার সংক্রান্ত জিনিসপত্র, স্যানিটারি ন্যাপকিন, খাবার সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রীও প্রদান করছে এসএফআইএর রিলিফ টিম।
Comments :0