চিন্ময় কর: মেদিনীপুর
স্বাধীনতা সংগ্রামী আজীবন কমিউনিস্ট জননেতা সুকুমার সেনগুপ্তর ৩৩তম প্রয়াণ বার্ষিকী স্মরণে সিপিআই(এম) পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয় শনিবার মেদিনীপুর শহরের স্পোর্টস কমপ্লেক্সে। স্মারক বক্তৃতায় প্রধান বক্তা ছিলেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বিষয় বস্তু ছিলো বাংলার বামপন্থার পুনরুত্থানে সিপিআই(এম)'র ভূমিকা।
এদিন মহম্মদ সেলিম বলেন, "আমরা স্মারক বক্তৃতা করি ও স্মরণসভা করি তাঁর জীবনের থেকে শিক্ষা নিতে। নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁদের সেই সময়ের লড়াইয়ের বার্তার কথা পৌঁছে দিতে। ইতিহাসের থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমানে লড়াই সংগ্রামের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করা। বর্তমানের চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করে ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য যে লড়াই সংগ্রাম আমরা করছি সেই ধারাকে অবিরত রাখা। বামপন্থীরা অতীতের আন্দোলন সংগ্রাম থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমানে লড়াইয়ের পথকে আরও মজবুত করে।
সদ্য প্রয়াত বর্ষিয়ান কমিউনিস্ট নেতা কমরেড দীপক সরকার স্মরণে নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে এদিনের কর্মসূচির সূচনা হয়। প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সম্পাদক এবং সভার সভাপতি বিজয় পাল। তিনি বলেন, "অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলায় কমিউনিস্ট পার্টির সংগঠন গড়ে তোলার অন্যতম পথিকৃত আজ থেকে ৩৩ বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন। কিন্তু বিপ্লবী চেতনায় পার্টি সংগঠন গড়ে তোলার কর্ম জাগ্রত রাখতে এবং নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে সেই সময় থেকে অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক প্রয়াত কমরেড দীপক সরকার এই স্মারক বক্তৃতা চালু করেন। সেই পথেই আজ ৩৩ তম স্মারক বক্তৃতা সংগঠিত করা হয়।"
সভা শুরুর আগে খবরে জেনারেশন নামক একটি পোর্টাল চালু করা হয়। উদ্বোধন করেন মহম্মদ সেলিম। পাশাপাশি এই মঞ্চে হাজির হয়ে উত্তরবঙ্গের বিপর্যস্ত মানুষের ত্রান তহবিলে ১০ হাজার টাকার চেক মহম্মদ সেলিমের হাতে তুলে দেন অবসর প্রাপ্ত অধ্যাপক হরিহর ভৌমিক। এবং জ্যোতি বসু সমাজবিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র তহবিলে ৩ হাজার টাকা তুলে দেন অবসরপ্রাপ্ত বন আধিকারিক সমীরণ ব্যানার্জি। তিনি অসুস্থ শরীরেও হাজির হন এই কর্মসূচীতে। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস সিনহা, পরেশ পাল, গীতা হাঁসদা এবং প্রাক্তন জেলা সম্পাদক তরুণ রায় সহ জেলা নেতৃবৃন্দ।
Comments :0