Bihar Assembly Election

বিহারে নির্বাচনের দিন ঘোষণা আজ

জাতীয়

রবিবার বিহারের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। বিকেল চারটের সময়ে দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে বলে কমিশন সূত্রে খবর।
বিহার বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২২ নভেম্বর। তার আগেই বিহার বিধানসভা ভোটপর্ব শেষ হয়ে যাবে বলে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। ভোটের প্রস্তুতিকে ঘিরে দু’দিন ধরে পাটনায় থেকে পর্যালোচনার পর রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জ্ঞানেশ কুমার জানিয়ে দেন যে, এবারের ভোটে একগুচ্ছ সংস্কার এবং কাঠামোগত পরিবর্তন চালু করা হবে। তবে ক’দফা ভোট হবে, সেবিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।
এবারের বিহারের ভোটকে ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (এসআইআর) প্রক্রিয়া চালু হওয়ার পর থেকেই। নির্বাচন কমিশন এসআইআর’র পক্ষে নানা ধরনের যুক্তি দিয়ে সওয়াল চালালেও বিরোধীরা এই প্রক্রিয়াকে ‘বিজেপি বা তার শরিকদের ভোটের আগেই সুবিধা করে দেওয়া’ বলে অভিযোগ করে চলেছে। তাদের অভিযোগের যে ভিত্তি রয়েছে তা আরও স্পষ্ট হয়ে যায় এসআইআর পরবর্তী চূড়ান্ত ভোটার তালিকা থেকে ৪৭ লক্ষ নাম বাদ যাওয়া থেকেই। বস্তুত, নাম বাদ যাওয়ার সংখ্যাটি ৬৯ লক্ষ, কিন্তু খসড়া তালিকা এবং চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের মধ্যবর্তী সময়ে প্রায় ২১ লক্ষ ভোটার যুক্ত হওয়ার ফলে সংখ্যাটি কমে দাঁড়িয়েছে ৪৭ লক্ষে। এদিন কমিশনের পক্ষ থেকে আবার দাবি করা হয়েছে যে, এসআইআর’র ফলে ২২ বছর পর বিহারের ভোটার তালিকা অনেক বেশি ‘পরিশুদ্ধ’ হয়েছে।
শনিবার রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন জ্ঞানেশ কুমার সহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা। ওই বৈঠকেই বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেই এক কিংবা দু’দফায় ভোট এবং ছট উৎসব শেষ হওয়ার পর পরেই যাতে ভোট গ্রহণ করা হয়, সেই দাবি জানায় কমিশনকে। তবে কমিশনের পক্ষ থেকে ক’দফায় ভোট নেওয়া হবে জানানো না হলেও ২২ নভেম্বরের আগেই ভোটপর্ব শেষ করে ফেলা হবে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এরই সঙ্গে ভোট সংক্রান্ত সংস্কারের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে জ্ঞানেশ কুমার জানিয়েছেন, ‘প্রতিটি বুথে এবার সর্বাধিক ১২০০ ভোটার ভোট দেবেন। আগে এই সংখ্যাটি সর্বাধিক ১৫০০ ছিল।’ ভোটগ্রহণের শেষ মুহূর্তে বিরাট লাইন বা ভোটারদের অপেক্ষার সময় কমিয়ে আনতেই এই পদক্ষেপ বলে দাবি করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। আবার উপনির্বাচনে পরীক্ষানিরিক্ষার পর্যায়ে থাকলেও এবার বিহারে প্রতিটি বুথে ভোটারদের জন্য বুথে প্রবেশের আগে মোবাইল ফোন জমা এবং পরে ফেরতের ব্যবস্থা থাকছে। একই সঙ্গে ভোটার ইনফরমেশন স্লিপ (ভিআইএস) নতুনভাবে তৈরি করা হয়েছে। বুথ পর্যায়ের এজেন্ট (বিএলএ) এবং বুথ পর্যায়ের অফিসার (বিএলও)-দের জেলা বা রাজ্য পর্যায়ের বদলে এবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ‘ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডেমোক্র্যাসি অ্যান্ড ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট’-এ।’ তিনি আরও জানান যে, ‘বিহারে রাজনৈতিক দলগুলির ক্যাম্প অফিস বুথ কেন্দ্র থেকে ১০০ মিটার দূরত্বে করা যাবে। প্রতিটি বুথে এবার ১০০ শতাংশ ওয়েবকাস্টিং ব্যবস্থা থাকবে। পোস্টাল ব্যালটের গণনা চূড়ান্ত পর্যায়ের দু’রাউন্ড গণনার আগেই শেষ করতে হবে। বুথ ছাড়ার আগে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের পোলিং এজেন্টদের বুথের ভোট সংক্রান্ত তথ্য জানাতে ১৭সি ফরম দিতে হবে। একই সঙ্গে ভোটর পরিচিতিপত্র এবং প্রার্থী সংক্রান্ত তথ্য আরও আধুনিক করা হচ্ছে।’

Comments :0

Login to leave a comment