প্রতীম দে ও প্রবীর দাস: স্বরূপনগর
লুঠেরাদের সরকারকে হারিয়ে ২০২৬ সালে মানুষের পক্ষের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। স্বরূপনগরের সমাবেশে বলেন মীনাক্ষী মুখার্জি।
পঞ্চায়েত ভোট হোক বা বিধানসভা নির্বাচন ওই এলাকার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। সম্প্রতি একটি মাদ্রাসা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বামপন্থীরা। সেই প্রসঙ্গ টেনে এলাকার মানুষকে অভিনন্দন জানান মীনাক্ষী, সেলিম।
সেলিম বলেন, 'পাহাড় থেকে সমতলে বাংলা বাঁচাও যাত্রাপথে প্রত্যাবর্তনের আহ্বানে উদ্বেলিত রাজপথ।কেন এই আহ্বান? বাংলাকে বাঁচাতে হবে। বাঁচাতে হবে মাইক্রোফিন্যান্সের হাঁড়িকাঠে গলা দেওয়া বাদুড়িয়া, স্বরূপনগর, হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ সহ বিস্তীর্ণ মহকুমার গতরে খাটাদের।বাঁচাতে হবে ইছামতি পদ্মা যমুনা নদীকে। ইছামতি বাঁচলে বাঁচবে সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বনগাঁ, গাইঘাটা, হাবড়া, শহীদ তিতুমীরের বাদুড়িয়া, শহীদ নুরুলের স্বরূপনগর।
কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় 'সাগ্নিক'কবিতা শেষ করেছেন এই বলে-"তোমার কাজ,আগুণকে ভালোবেসে উন্মাদ হয়ে যাওয়া নয়, আগুণকে ব্যবহার করতে শেখো। অস্হির হয়ো না,শুধু প্রস্তুত হও"। ঘরে ঘরে প্রস্তুতি নেওয়ার বার্তা তাই বাংলা বাঁচাও যাত্রায়।'
বুকের পাঁজর দিয়ে নতুন বাংলা গড়ার শপথে সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, হরিচাঁদ গুরুচাঁদের স্মৃতি বিজড়িত ঠাকুরনগর ছুঁয়ে প্রতিবাদী শিক্ষক বরুন বিশ্বাসের স্মৃতি বিজড়িত সুটিয়া বাজার, শহীদ নুরুলের স্বরূপনগর তিতুমীরের মাটি বাদুড়িয়া ছুঁয়ে যখন তেঁতুলিয়া ফুটবল ময়দানে এসে পৌঁছায় বাংলা বাঁচাও যাত্রা। এই গোটা রাস্তা পার করতে বার বার বেগ পেতে হয়েছে নেতৃত্বকে। মানুষের উন্মাদনার সাক্ষী গোটা যাত্রা পথ। মীনাক্ষী দের একবার ছোঁয়ার জন্য রাস্তার দুই ধারে মানুষের ভিড়। যাত্রা যত গড়িয়েছে ভিড় পল্লা দিয়ে বেড়েছে। ফুলের পাপড়িতে ঢাকা পড়েছে রাস্তা। সংখ্যালঘু এলাকার মানুষ বসে থেকেছে কথা শোনার জন্য। অগ্রহায়ণ মাসের শেষ রোদ সাক্ষী থেকেছে সেই সব উন্মাদনার।
জীবনজীবিকা রুটি রুজির দাবিতে সোচ্চার ভিড়ে ভরা তেঁতুলিয়ার মাঠ।
মাইক্রোফিন্যান্সের ফাঁসে জর্জরিত দীপু কাহার,আল্পনা মণ্ডল, সীতা ঘোষ ছিলেন সমাবেশে। ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে কেউ পালিয়ে যাচ্ছে ভিন রাজ্যে।
সমাবেশে মীনাক্ষী বলেন, ওরা সব শেষ করেছে। আমাদের এই বাংলাকে রক্ষা করতেই হবে।
সুটিয়ায় বরুণ বিশ্বাসের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান মীনাক্ষী মুখার্জি, ছিলেন বরুণ বিশ্বাসের দিদিও। তিনি বলেন, বরুণ বিশ্বাস প্রতিবাদ করেছিল। তাই তাকে খুন হতে হয়েছিল। এই বাংলাকে বাঁচাতে হলে এই খুনিদের সরাতে হবে।
Comments :0