প্রাদেশিক কৃষকসভার রাজ্য ৩৮তম সম্মেলনের প্রচারে পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে সাংস্কৃতিক জাঠা ঘুরছে গ্রামগঞ্জে। গত বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৫৫টি জায়গাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক কৃষকসভার রাজ্য সম্মেলন ৭-৯ নভেম্বর বর্ধমান শহরে। ৭ নভেম্বর প্রকাশ্য সমাবেশ উৎসন ময়দানে। শুধু এই সম্মেলনের বার্তা দেওয়া নয়, প্রকাশ্য সমাবেশে উপস্থিতির আমন্ত্রণও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জেলার প্রত্যন্ত প্রান্তরে।
৩০ অক্টোবর সাংস্কৃতিক জাঠার সূচনা হয় বর্ধমান শহর থেকে। তারপর সেই জাঠা দক্ষিণ দামোদরের রায়না, খন্ডঘোষ হয়ে খানা, গলসী, বুদবুদ, শক্তিগড়, বড়শুল, মেমারী, সাতগেছিয়া, ভান্ডারডিহি হয়ে দেওয়ানদিঘীতে শেষ হয়েছে।
বাউল, লোকগীতি, পল্লীগীতি, ভাওয়াইয়া, কবিগান, কবির লড়াই, নৃত্য গ্রামবাংলার মানুষের মন ছুঁয়ে গেছে। বহু জায়গাতে মানুষের অনুরোধে একাধিক বাউল, কবির লড়াই, নৃত্য পরিবেশন করতে হয়। সর্বত্র কৃষক সম্মেলনের বার্তা পৌঁছে দিতে শিল্পীরা নানাভাবে চেষ্টা করেছেন। প্রতিদিনই রাত ১০ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান হয়েছে গ্রামবাংলার পথে পথে।
বাউল, কবিয়াল, নৃত্য শিল্পী ও আদিবাসী নৃত্য, লোকগীতি, পল্লীগীতি দারুণভাবে সাড়া ফেলে গ্রামে। কৃষক, খেতমজুরের কাছে লড়ায়ের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন তাঁরা। শিল্পী মানিক মন্ডল ও সম্প্রদায়, বিকাশ বাগ, জয়ন্ত দাস, নিতু বাগ, তুলি বাগ, ঘুর্ণি বাউল, সুশান্ত পন্ডিত ও ইভানা মহাপালরা কৃষকের জীবন যন্ত্রণার কথা, ফসলের দাম না পাওয়ার কথা, সারের দাম নিয়ে কালোবাজারি, জমির লড়াই, তাঁদের অধিকারের এমন তথ্যই তুলে ধরেন মানুষের কাছে।
এই ৪দিন ধরে অনুষ্ঠানগুলিতে উপস্থিত ছিলেন জেলার সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নেতা শের আলি, কাজল রায়, শ্যামলীনা কোনার, চঞ্চল সোরেন সহ একাধিক নেতৃত্ব।
সমাবেশ সফল করতে আজ রবিবার ট্রেনে প্রচার চালায় ডিওয়াইএফআই।
Comments :0