সংঘর্ষ বিরতি বলা হলেও সমানে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল। স্বাভাবিক হয়নি খাদ্য সরবরাহ। ত্রাণে বাধা রয়েছে এখনও। ত্রাণের সারিতে ফাঁকা থালা-বাটি হাতে শিশু ও নারীদের আর্তির ছবি ছড়িয়ে পড়ছে।
গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ জানাচ্ছে যে গত চব্বিশ ঘন্টায় ১৭ দেহ উদ্ধার হয়েছে। ৫ প্যালেস্তিনীয় নিহত হয়েছেন ইজরায়েলের সেনার হামলায়। গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৬৯ হাজার। জানানো হয়েছে যে ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু দেহ আটকে রয়েছে।
কেবল গাজাই নয়, প্যালেস্তাইনের অন্য প্রান্ত ওয়েস্ট জমিতে জোর করে করে বসবাস করা ইজরায়েলিরা কখনো হামলা চালাচ্ছে নিরপরাধ গাজাবাসীর উপর আবার কখনো কেড়ে নিচ্ছে তাঁদের সহায়-সম্বল। ইজরায়েলের এই ‘সেটলার’ বাহিনীকে সুরক্ষা দিচ্ছে তাদের সেনা।
গাজায় ফের সংঘর্ষের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন পালেস্তিনীয়রা।
আরব দুনিয়ার বিভিন্ন সংবাদ জানাচ্ছে, অল-মানিয়া, বেথেলহেমের কাছাকাছি বেশ কিছু গ্রামের সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালায় ইজরায়েলিরা। পাশাপাশি, তারা প্যালেস্তাইনের জলপাইচাষীদের উপরেও হামলা চালায়। এমনকি, তাদের খেতগুলিতেও হামলা চালায় এই বাহিনী।
ইজরায়েলের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে যে তাদের দেশের এক তৃতীয়াংশ মনে করছে যে আমেরিকার মদতেই ইজরায়েল গাজার উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইজরায়েল জানিয়েছে, ৩১ তারিখ রাতে হামাস যে ৩ দেহ হস্তান্তর করেছে তাদের সঙ্গে ইজরায়েলি বন্দিদের দেহের মিল নেই। হামাস সেই দেহ ফেরানোর অনুরোধ করলেও এবিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি ইজরায়েলি সরকার।
যুদ্ধবিরতির মাঝে বারবার দাবি জানানো সত্ত্বেও গাজার বিভিন্ন অংশে ত্রাণ পরিষেবা সঠিকভাবে মিলছে না। গাজার বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার ভিডিও তে উঠে আসছে নিরন্ন মানুষের হাহাকার। পাশপাশি, কবরস্থানে আশ্রয় নিয়েছেন বহুমানুষ। এবার তাঁদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থার জন্য দাবি জানালেন খান ইউসুনের মেয়র।
রাষ্ট্রসংঘে গৃহীত গাজার জন্য প্রস্তাবিত পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলি যাতে শুরু করা যায় তার জন্য গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানানো হয়েছে জার্মান ও জর্ডানের তরফে। পাশাপাশি সোমবার গাজার পরবর্তী প্রক্রিয়া নিয়ে ইস্তানবুলে বৈঠকে বসতে চলেছেন আরব সহ ইসলামিক বিভিন্ন দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীরা।
gaza conflict
গাজায় উদ্ধার আরও ১৭ দেহ, পুরোদমে সংঘর্ষ ফেরার শঙ্কা
×
Comments :0