ইজরায়েলের যুদ্ধ চলাকালে গাজা উপত্যকায় অনাহারে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবার ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ৪ শিশু রয়েছে। গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় জোরপূর্বক অনাহারে কমপক্ষে ১০ জন প্যালেস্তিনীয় মারা গেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছে মাত্র ছয় সপ্তাহ বয়সী এক নবজাতক শিশুও। যার ফলে অনাহারে মৃতের সংখ্যা ১১১ জনে দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে কমপক্ষে ৮০ জন শিশু বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বুধবার সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনাহারে প্রাণ হারানো ওই শিশুর নাম ইউসুফ আবু জাহির। তার মৃত্যু হয়েছে দুধের অভাবে। শিশুটির কাকা আদহাম আল-সাফাদি সংস্থা সংস্থাকে বলেন, “বাজারে কোথাও দুধ নেই, আর পাওয়া গেলেও একটি ছোট টিনের দাম ১০০ ডলার পর্যন্ত। সাধারণ মানুষের পক্ষে সেটা কেনা সম্ভব নয়।”
বর্তমানে গাজার বিভিন্ন অংশে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি। উত্তর অথবা দক্ষিণ, সর্বত্রই সমান পরিস্থিতি। স্থানীয় লোকেরা খাবার, পানীয় জল, দৈনন্দিন প্রয়োজনের সামগ্রী, জ্বালানি সংগ্রহ করতে নাকাল হচ্ছেন। হাসপাতালেও ওষুধ এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত সরঞ্জাম অথবা সামগ্রীর অপ্রতুলতা। নেই রোগীদের দেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় পথ্য। লাগাতার আগ্রাসন গাজায় প্যালেস্তিনীয়র জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। “২০ লক্ষ প্যালেস্তিনীয় এখন বোমা, ক্ষুধা ও অপুষ্টির মধ্যে দিয়ে প্রতিদিন টিকে থাকার লড়াই করছেন। অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েলি আগ্রাসনের পর অপুষ্টিজনিত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১১-এ, যার মধ্যে ৮০ জনই শিশু। ইজরায়েলের লাগাতার হানায় ত্রাণ সংগ্রহ করার সময়ও প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছেন গাজার বহু মানুষ।
রাষ্ট্রসংঘের ত্রাণ সংস্থা জানিয়েছে, গত চার মাসেরও বেশি সময় ধরে ইজরায়েলি কর্তৃপক্ষ খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহে বাধা দিচ্ছে। ফলে, খাদ্যের দাম ৪০ গুণ পর্যন্ত বেড়েছে এবং অনেকে দিনের পর দিন না খেয়ে থাকছে।
Gaza
গাজায় অনাহারে মৃতের সংখ্যা ১১১

×
Comments :0