রাজ্যে একশো দিনের কাজ চালু করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ১ আগস্ট থেকেই কাজ চালু করার নির্দেশ দিয়েছিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ। কিন্তু কাজ চালু হয়নি রাজ্যে। তার প্রতিবাদে বড়জোড়ায় বিক্ষোভ দেখালেন খেতমজুররা।
সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি তুষার ঘোষ বলেন, ‘‘সারা রাজ্যে এই বিক্ষোভ চলছে। কেন্দ্র-রাজ্য কোনও সরকারের সদিচ্ছা নেই। তাই আদালতের রায় সত্ত্বেও চালু হলো না কাজ। লড়াই করেই দাবি আদাব করতে হবে।’’
এদিন বড়জোড়ার মালিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ডেপুটেশন মিছিল হয় শুক্রবার। জব কার্ড দেখিয়ে কাজ চান খেতমজুররা। তাঁরা কাজের দাবিতে ৪-ক ফরম জমা দেন। (দেখুন ভিডিও এই লিঙ্ক ক্লিক করে)
১ আগস্ট থেকে মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্পের কাজ চালু করতে বলেছিল হাইকোর্ট। কেন্দ্র রাজ্য দুই সরকারই নীরব।
দামোদরের পাড়ে মালিয়ারা এলাকায় কোনও কাজ নেই। বৃষ্টির ফলে চাষযোগ্য বহু জমি জলে ডুবে গিয়েছে। ফলে কাজের সঙ্কট আরও বাড়বে।
পুতুল বাউড়ির বাড়ি পিংরুই। শিবানী বাউড়ি, তরুবালা বাগদি একই গ্রামের। লতা বাউড়ি এসেছেন তেঘরিয়া থেকে। সবাই জানাচ্ছেন কাজ চালুর দাবি। হেঁটে এসে মিছিলে যোগ দিয়েছেন। সকলেরই বক্তব্য তিন বছর আগের কাজের মজুরি পাননি আজও। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ।
এদিন বড়জোড়ায় পখন্না গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের সন্ত্রাসের এলাকা দীর্ঘদিন ধরে। সেখানেও এদিন ডেপুটেশন হয়েছে।
একশো দিনের কাজে বিপুল দুর্নীতির প্রতিবাদে বারবার বিক্ষোভে নেমেছে বামপন্থীরা। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দুর্নীতির অজুহাত দিয়ে একশো দিনের কাজ বন্ধ করে রাখে তিন বছর। তারও প্রতিবাদ জানায় বামপন্থীরা। সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়ন দাবি তোলে যে দুর্নীতিগ্রস্তদের ধরতে হবে। ধরতে হবে দুর্নীতিগ্রস্ত তডণমূল নেতাদের। কিন্তু রাজ্যের গরিব খেটে খাওয়া মানুষকে শাস্তি দেওয়া হবে কেন।
তুষার ঘোষ বলেছেন, ‘‘বর্ধমান, দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত গত কয়েকদিন ধরে কাজ চালুর দাবিতে বিক্ষোভ চলছে। ২০-২১ আগস্ট খেতমজুর ইউনিয়ন এবং সারা ভারত কৃষকসভা রাজ্যের সব গ্রাম পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখাবে।’’
MGNREGA Barjora
হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও চালু হলো না একশো দিনের কাজ, বিক্ষোভ

×
Comments :0