পিছিয়ে গিয়েছে জনগণনা। ফলাফল বের হতে দেরি রয়েছে। সেই সুযোগে ‘জনবিন্যাস পরিবর্তনের’ প্রচার জারি রেখেছে আরএসএস। ধর্মান্তরকরণ এবং অনুপ্রবেশকে জনবিন্যাস পরিবর্তনের জন্য দায়ী করলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।
আরএসএস’র একশো বছর পালনের এক অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার ভাগবত বলেছেন, জনবিন্যাস জনিত ভারসাম্যের সমস্যা হচ্ছে অনুপ্রবেশ এবং ধর্মান্তকরণের জন্য। অনুপ্রবেশকারীদের চাকরি কেড়ে নিতে দেওয়া যাবে না। আমাদের নিজেদের নাগরিকদের দিতে হবে কাজ। তার মধ্যে ভারতীয় মুসলিমরাও থাকবেন।
আরএসএস এবং তার রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপি বরাবর মুসলিমদের সংখ্যা বৃদ্ধির আতঙ্ক ছড়িয়ে রাজনৈতিক মেরুকরণের প্রচার চালিয়েছে। ২০১১-তে শেষ জনগণানর ফলাফলে দেখা গিয়েছিল মুসলিমদের মধ্যে জন্মহার কমেছে দ্রুততার সঙ্গে। ফলে মুসলিম জনসংখ্যা হিন্দুদের ছাপিয়ে যাবে, আরএসএস’র এমন প্রচার ধাক্কা খায়। কোভিডের কারণ দেখিয়ে ২০২১’র জনগণনা বন্ধ রাখে আরএসএস। কিন্তু মুসলিম জনসংখ্যা জনিত ভীতি ছড়ানোর প্রচার বন্ধ হয়নি। পশ্চিমবঙ্গ, আসাম বা বিহারের মতো রাজ্যে নির্বাচনের আগে এই প্রচারকে গুরুত্ব দেওয়ার কৌশল স্পষ্ট করেছেন ভাগবত।
এসআইআর এবং পুশব্যাক নীতির পক্ষ নিয়ে ভাগবত বলেছেন, দেশের সরকার অনুপ্রবেশ বন্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু সমাজকেও ভূমিকা নিতে হবে। ধর্ম ব্যক্তিগত পছন্দ। কেউ জোর করে চাপিয়ে দিতে পারে না।
মুসলিম এবং খ্রীস্টানদের বিরুদ্ধে ধর্ম বদলানোর অভিযোগ তুলে নিয়মিত হামলা জারি রেখেছে আরএসএস। উল্লেখ্য, বিহারে এসআইআর’র আগে অনুপ্রবেশের যুক্তি দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ‘বিশেষ সংশোধনের’ পরও খসড়া তালিকায় নির্বাচন কমিশনও জানায়নি কতজন অনুপ্রবেশকারীর নাম রয়েছে বিহারের ভোটারের তালিকায়।
Mohan Bhagwat Illegal Immigration
বিধানসভা ভোটে অনুপ্রবেশের প্রচারেই জোর, বোঝালেন ভাগবত

×
Comments :0