জনগণনায় অবৈধ অভিবাসীদের বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিলেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের মালিকানাধীন সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্প নিজেই জানিয়েছেন যে বাণিজ্য দপ্তরকে নির্দেশও পাঠিয়েছেন তিনি।
আমেরিকায় প্রতি দশ বছর অন্তর জনগণনায় সব বাসিন্দাকেই ধরা হয়। ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘২০২৪’র রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফলাফলের মতো তথ্য ও ঘটনা বিচারে রেখে নির্ভুল জনগণনা করতে হবে। দেশে যারা অবৈধভাবে রয়েছে তাদের বাদ দিতে হবে।’’
অভিবাসী বিরোধিতাকেই তীব্র করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রচার চালিয়েছিলেন ট্রাম্প। বস্তুত অতি দক্ষিণপন্থী সব রাজনৈতিক শক্তিই এই কৌশলে প্রচার করে। এই অংশকেই দেশের সঙ্কটের জন্য দায়ী করে। যেমন বিজেপি করছে ভারতে।
আমেরিকার সংসদের ওয়েবসাইটে ট্রাম্পের ঘোষণার পরও বলা হয়েছে যে সব বাসিন্দাকে হিসেবের আওতায় রাখা হচ্ছে। তবে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক প্রক্রিয়া এখনও সম্পূর্ণ হয়নি।
২০২৬-এ আমেরিকায় ‘মিড টার্ম’ ভোট। রাষ্ট্রপতির মেয়াদের মাঝে এই নির্বান রাজনৈতিক কারণেই ট্রাম্পের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি স্তরে ছাঁটাই এবং আমদানি শুল্ক চাপিয়ে দেশের বাজারে দাম বেড়েছে বিভিন্ন পণ্যের।
সংবিধান অনুযায়ী কেবল রাষ্ট্রপতির নির্দেশে জনগণনার পদ্ধতি বদলানো হয় না। জাতীয় জনপ্রতিনিধি সভা আমেরিকার কংগ্রেসে এই সিদ্ধান্ত পাশ করাতে হবে।
কোনও অভিবাসীকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে ট্রাম্পের প্রশাসন নিজেই ব্যবস্থা নিচ্ছে। বিচার প্রক্রিয়া এড়িয়ে সরাসরি বিমানে তুলে দেওয়া হয়েছে একাধিক ঘটনায়। ভারতীয়দেরও হাতকড়া পরিয়ে দেশে পাঠানো হয়েছে। আমেরিকার ভেতরেই প্রশাসনের এমন ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ রয়েছে।
Trump Census
জনগণনায় বাদ ‘অবৈধ’ অভিবাসীরা, ঘোষণা ট্রাম্পের

×
Comments :0