Trump National Guard

বিরোধীদের হাতে থাকা শহরে, প্রদেশে ট্রাম্পের বাহিনী, বাড়ছে সংঘাত

আন্তর্জাতিক

বিরোধী ডেমোক্র্যাট পরিচালিত শহরে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করছেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি। পোর্টল্যান্ড, শিকাগোর মতো শহরে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চলছে আইনি লড়াই। অবৈধ অভিবাসন ধরার নামে হোয়াইট হাউস থেকে বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে তোলপাড় চলছে আমেরিকায়। 
ট্রাম্প বলছেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন হয়েছে। অবৈধ অভিবাসন ঠেকানোর বাহিনী ‘আইস’-কে শক্তিশালী করবে এই বাহিনী। 
ইলিওনয় প্রদেশ এবং তার মধ্যে শিকাগো নগর প্রশাসন এর মধ্যে আদালতে গিয়েছে। বিচারপতিরা স্থগিতাদেশ না দিলেও ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা তলব করেছে। 
তবে আদালতের রায়ে থামতে নারাজ ট্রাম্প। তিনি জানিয়ে রেখেছেন যে দরকারে উগ্রপন্থা দমন আইন প্রয়োগ করবেন তিনি। 
এর আগে লস অ্যাঞ্জেলস, ওয়াশিংটনে ন্যঅশনাল গার্ড মোতায়েন করেন ট্রাম্প। যে বাহিনী মোতায়েন হওয়ার কথা দেশ বাইরের শত্রুর হাতে আক্রান্ত হলে। 
বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, আইন-শৃঙ্খলার অজুহাত আদৌ সত্যি নয়। বিরোধীরা প্রশাসনের দায়িত্বে আছে এমন জায়গায় জোর খাটাচ্ছেন ট্রাম্প। 
পর্যবেক্ষকদের একাংশের মত, পোর্টল্যান্ড, অরাগন, শিকাগোতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের পদক্ষেপে আমেরিকায় সাংবিধানিক সঙ্কট দেখা যেতে পারে।  
মঙ্গলবারই ট্রাম্পের ন্যাশনাল গার্ড রওনা হয়েছে আরেক শহরে ইলিনয়তে। ইলিনয়ের গভর্নর জেবি প্রিতজকর বাহিনী মোতায়েন রোখার ঘোষণা পর্যন্ত করে ফেলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমেরিকার জনতা, তিনি যেখানেই থাকুন, সামরিক শাসন মানতে বাধ্য নন। রাষ্ট্রপতির অপছন্দ, কেবল এই কারণে কোনও শহর বা প্রদেশে সামরিক শাসন জারি হতে পারে না।’’ 
এদিকে শিকাগোর মেয়র ব্র্যান্ডন জনসন জারি করেছেন প্রশাসনিক নির্দেশিকা। বলা হয়েছে যে অভিবাসন রোধ বাহিনী ‘আইস’ যেন কোনওভাবে শহরের সম্পত্তি ব্যবহার না করে। জনতার সুরক্ষার জন্য এই বাহিনী ব্যবহার হচ্ছে না। ক্ষমতা দখলের তীব্র আকাঙ্ক্ষা থেকে এই বাহিনী কাজে লাগাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি।

Comments :0

Login to leave a comment