Gig Workers Bangla Bachao Yatra

গিগ কর্মীদের সমাবেশে শ্রমিক সুরক্ষার দাবি তুলল ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’

রাজ্য জেলা

বুধবার চিনার পার্কে সমাবেশ। ছবি: অরিজিৎ মণ্ডল/ভিডিও: প্রিতম ঘোষ

প্রতীম দে
সমাজের বিভিন্ন অংশের কাছেই যাচ্ছে ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’। সিপিআই(এম)’র এই কর্মসূচির শেষ দিনে, বুধবার, চিনার পার্কে সমাবেশ হলো গিগ শ্রমিকদের নিয়েই। 
ছিলেন গিগ কর্মী, অ্যাপ ক্যাব চালকরা। যাঁদের শ্রমিক হিসেবেই স্বীকৃতি দেয় না সংশ্লিষ্ট সংস্থা। বাস্তবে অধিকারই নেই কোনও। 
ছিলেন গিগ কর্মী নরেশ মাহাতো, সোহাগ খানরা। তাঁরা বলেছেন, ‘‘আমরা লাগাতার কোম্পানির শোষণ আর প্রশাসনিক জুলুমের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছি। লাল ঝান্ডা একমাত্র শ্রমিকদের শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।’’
সভাপতিত্ব করেছেন সিপিআই(এম) নেতা সোমনাথ ভট্টাচার্য। বক্তব্য রেখেছেন গার্গী চ্যাটার্জি, পলাশ দাস, মীনাক্ষী মুখার্জি।
রাজ্যে প্রায় ৮০ লক্ষ গিগ কর্মী রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের নিয়ে মাথাব্যথাই নেই রাজ্যের তৃণমূল সরকারের।   
পলাশ দাস বলেছেন, ‘‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা আজ আমাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। মানুষ চাইছে এই বাংলাকে বাঁচাতে।’’ তিনি বলেন, ‘‘এসআইআর-এ সব থেকে বেশি নাম বাদ গিয়েছে মতুয়া, তপশিলি জাতি এবং আদিবাসী প্রধান বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে।’’
পলাশ দাস বলেছেন, ‘‘গিগ কর্মীদের কোন সামাজিক সুরক্ষা নেই। কাজের সুরক্ষা নেই।’’ 
মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, ‘‘সব জায়গায় লুঠ করছে। রাস্তায় দাঁড়ালে, গিগ কর্মীদের লুঠ করছে পুলিশ। একের পর এক প্রকল্প হচ্ছে আর নেতা মন্ত্রীদের লুঠ বাড়ছে।’’ 
গিগ কর্মীদের বলা হয় কৌশলে বলা হয় ‘পার্টনার’। শ্রমিক বা কর্মী হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ার কল এই ‘পার্টনার’ সম্বোধন। আসলে তারা মালিকের দাস। অ্যাপ ভিত্তিক প্রযুক্তির মালিকানা নিয়ে সংস্থাগুলি জোঁকের মতো করে শোষণ করছে। ১২-১৬ ঘণ্টা দিন কাজ করতে হচ্ছে। কিন্তু কাজের কোন সুরক্ষা নেই। 
মীনাক্ষী বলেন, ‘‘এই রাজ্যের সব সংস্থা গুলি যদি ঠিক করে চলতো, কেন্দ্রীয় সরকার যদি ঠিক ভাবে কাজ করতো আজ এই অবস্থা হতো না। শ্রম আইন বাতিল করে শ্রম কোড চালু হয়েছে। শ্রমিকদের সব অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। মমতা এসে পুলিশদের ইউনিয়নও তুলে দিয়েছিল।’’ 
তিনি বলেন, ‘‘অটো চালক হোক বা গিগ কর্মী কারও দায়িত্ব সরকার নেবে না। যতদিন কাজ করতে পারবে ততদিন রোজগার। তারপর কি হবে কেউ জানে না। সরকার কোন দায়িত্ব নিচ্ছে না। পেনশনের মতো নেই কোনও সামাজিক সুরক্ষা। এই রাজ্যে সব জায়গায় চুক্তিভিত্তিক কর্মী। এখন রাজ্যে চলছে হয় কাজ করো না হলে দুর্নীতি করো। মেসির নাম করেও টাকা তুলেছে তৃণমূল। আমরা শ্রমিকদের সুরক্ষা দিতে চাইছি। তার জন্য ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’।’’
বুধবার সোদপুর-পানিহাটি থেকে শুরু হয় যাত্রা। এদিনই বিকেলে কামারহাটিতে সমাবেশে সমাপ্ত হবে এই কর্মসূচি। 
পানিহাটিতে আরজি কর হাসপাতালে নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে কথা বলেন সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ। দেখা করতে যান সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখার্জি, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক পলাশ দাস, ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক ধ্রুবজ্যোতি সাহা, সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য আত্রেয়ী গুহ, সায়নদীপ মিত্র, প্রবীণ সিপিআই(এম) ‌নেতা তরিৎবরণ তোপদার। ‘অভয়া’-র বাড়ি যান ও তার মা ও বাবার সঙ্গে কথা বলেন দীর্ঘক্ষণ।

Comments :0

Login to leave a comment