ফের পুলিশি জুলুমের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বীরভূম জেলা ট্রাক ও ট্রিপার মালিক অ্যাসোসিয়েশন। মঙ্গলবার সাংবাদিক সন্মেলন করে পুলিশের অনৈতিক হেনস্থা, হূমকি ও অর্থ প্রদানের জন্য চাপ দেওয়ার ভিডিও প্রকাশ করে অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। এই ঘটনার পরেই জেলা পুলিশ সুপার মহম্মদবাজার থানার দুই পুলিশ আধিকারিক সাসপেন্ড করেছে। বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, "দুই অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।" এদিন গাড়ির মালিকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ঝাড়খন্ড থেকে পাচার হয়ে বালি এসে মজুদ করা হচ্ছে সোতসাল এলাকায়। পুলিশের মদতেই চলছে এই পাচার চক্র। পুলিশ-প্রশাসনের জুলুমবাজি নিয়ে দিন কয়েক ধরেই সরব হয়েছে এই মালিক সংগঠন। দিন কয়েক আগে মহম্মদবাজারে সভা করে তারা অভিযোগ তুলেছিলেন। কখনও নো-এন্ট্রির নামে, কখনও ওভারলোডের নামে, কখনও আবার মিথ্যা মামলা দিয়ে গাড়ি মালিকদের হেনস্থা করা হচ্ছে। সেই হেনস্থার ফল ভুগছেন চালক খালাসিরাও। এদিন তারা একটি ভিডিও প্রকাশ করে পুলিসের টাকা আদায়ের জন্য চাপ দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আনাস আহমেদের অভিযোগ, ‘‘আমাদেরই এক মালিকের গাড়ি পুলিস ধরেছিল। আদালত থেকে সেই গাড়ি মুক্তও করা হয় আইন মেনে। কিন্তু তারপরেও মহম্মদবাজার থানার পুলিসের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মালিকের কাছে এক লক্ষ ৪০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। টাকা না দিলে গাড়িতে ঘাস বের করে দেওয়ারও শাসানি দেওয়া হয়। সমস্ত ঘটনার উপযুক্ত তথ্য প্রমান সহ আমরা ঘটনার কথা ডিএম-এসপিকে জানিয়েছি।’’ মালিকপক্ষ স্পষ্টভাবেই সাইফুল ইসলাম ও কিরন মন্ডল নামে দুই পুলিস আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। এই দুই আধিকারককেই সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
Police Officers Suspended
টাকা আদায়ের ভিডিও প্রকাশ, সাসপেন্ড দুই পুলিশ আধিকারিক

×
Comments :0