‘বন্ধু’ ট্রাম্পের শুল্ক নীতির সমালোচনা না করে বারাণসী থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফের একবার দাবি করলেন ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত অর্থনীতি হওয়ার পথে। সম্প্রতি মার্কিন রাষ্ট্রপতি ভারতীয় অর্থনীতিকে মৃত অর্থনীতি বলে চিহ্নিত করেছেন। এই বিষয় এদিন কোন কথা শোনা যায়নি প্রধানমন্ত্রী মুখে। ঠিক যুদ্ধ বিরতি ঘোষণায় ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি অস্থির পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। সব দেশ নিজেদের অর্থনীতি যাতে ঠিক থাকে সেই দিকে নজর রাখছে। ভারত বিশ্বের তৃতীয় অর্থনীতি হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে, এই পরিস্থিতিতে ভারতকে নিজের অর্থনৈতিক স্বার্থ মাথায় রেখে সতর্ক থাকতে হবে।’’
নরেন্দ্র মোদী এদিন ফের মেক ইন ইন্ডিয়ার পক্ষে সাওয়াল করেন। তিনি বলেন, ভারতে তৈরি জিনিস কেনার ওপর দেশবাসীর জোড় দেওয়া উচিত।
গত ৩১ জুলাই মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে ১ আগস্ট থেকে নতুন শুল্ক হার কার্যকর হবে। ভারত থেকে আমেরিকা যা আমদানি করবে তার ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি পেনাল্টিও চাপানো হবে।
এই সিদ্ধান্তের অর্থ, ভারতের পণ্যের দাম আমেরিকার জনতার কাছে বাড়বে। ফলে মার খাবে ভারতের রপ্তানি। ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য সমঝোতা আলোচনা চলার মাঝেই এই একতরফা সিদ্ধান্ত চাপিয়েছে আমেরিকা।
বাণিজ্য সমঝোতার আলোচনায় ভারতের কৃষি বাজার আমেরিকার কৃষিপণ্যের জন্য খুলে দেওয়ার প্রবল চাপ দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতের দুগ্ধজাত পদার্থের বাজারও সরাসরি আমেরিকার পণ্যের জন্য খুলে দিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। মোদী প্রশাসন মাথা ঝুঁকিয়ে চলায় চাপ সমানে বাড়াচ্ছে আমেরিকা।
ট্রাম্প তাঁর নিজের সোশাল মিডিয়া সংস্থা ‘ট্রুথ সোশাল’-এ বলেছেন, ‘‘ভারত আমাদের বন্ধু। তবে ভারতে আমাদের পণ্যের ওপর করের হার চড়া। বাণিজ্য আমরা কমই করতে পেরেছি।’’
কেবল তা-ই নয়, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের জ্বালানি লেনদেন সমঝোতাতেও দাদাগিরি ফলিয়েছে আমেরিকা। ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘রাশিয়ার থেকে মোটা অঙ্কের সামরিক সরঞ্জাম কেনে ভারত। রাশিয়ার জ্বালানিও কেনে, সবচেয়ে বড় ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে ভারত। চীনের পাশাপাশি ভারতও রাশিয়ার জ্বালানির বড় ক্রেতা। ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের জন্য সারা বিশ্ব যখন মুখর তখনই ভারত রাশিবার থেকে মোটা অঙ্কের লেনদেন চালাচ্ছে।’’
এদিনের সভা থেকে ফের সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানকে আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
Narendra Modi
মার্কিন শুল্ক চাপের পরেও প্রধানমন্ত্রী মুখে ‘বিশ্বের তৃতীয় বৃহত অর্থনীতি’ তত্ত্ব

×
Comments :0