ফর্ম জমা নেওয়ার স্বীকারোক্তি নেই নির্বাচন কমিশনের। বিএলও-দের দিয়ে অন্যের ফর্ম ভরে দেওয়ার অভিযোগেও বিদ্ধ কমিশন। ‘বিশেষ নিবিড় সংশোধন’-র পর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করলেও বিহারের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের ওয়েবসাইটে নেই বিশদ নথি।
বিহারে ভোটার তালিকায় ৭.৯৩ কোটি ভোটারের নাম ছিল। সূত্র মারফত বিভিন্ন সময়ে নির্বাচন কমিশন যা জানিয়েছিল তাতে ৬০ লক্ষের নাম বাদ পড়ার দাবি ছিল। কিন্তু কত নাম আদতে বাদ পড়ল জানা যাচ্ছে না খসড়া প্রকাশের কয়েক ঘন্টা পরও। কেননা পূর্ণ তালিকার বিশদের বদলে ভোটদাতারা নিজেদের তথ্য দিয়ে কেবল নিজের নাম দেখতে পারবেন ওয়েবসাইটে।
সুপ্রিম কোর্ট প্রক্রিয়া না বন্ধ করলেও জানিয়েছে গণহারে নাম বাদ গেলে হস্তক্ষেপ করা হবে। ভোটের আগে বিজেপি’র রাজনৈতিক লক্ষ্য অনুযায়ী নির্দিষ্ট অংশের নাম বাদ দেওয়ার চক্রান্তে নির্বাচন কমিশনকে অভিযুক্ত করেছে বিরোধীরা। সংসদেও চলছে প্রতিবাদ।
২৪ জুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে এক মাসের মধ্যে কাজ গুটিয়ে নেওয়ার অস্বাভাবিক তাড়াহুড়ো শীর্ষ আদালতের নজরেও এসেছে। তবে সংবাদমাধ্যমের একাংশে অজস্র অভিযোগ তুলছেন প্রান্তিক, গরিব বহু মানুষ। এমন ১১টি নথি চাওয়া হয়েছে যার ব্যবহার হয় খুব কম। অথচ আধার, রেশন কার্ডের মতো নথি গণ করা হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট বিবেচনার জন্য বললেও তা গ্রহণ করেনি কমিশন। কাজ গুটাতে আপাতত কোনও নথি ছাড়া কেবল ফর্ম ভরতে বলেছে কমিশন। আরও বলেছে, চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগে, আগস্টের মধ্যে, খসড়ায় নাম নেই এমন অংশ নথি দিয়ে আবেদন জানাতে পারবে। তবে তখনও আধার, রেশন এমনকি কমিশনেরই ভোটার কার্ড বৈধতা প্রমাণে বিবেচিত হবে কিনা স্পষ্ট নয়।
শুক্রবার কংগ্রেস সাংসদ এবং লোকসভা দলনেতা রাহুল গান্ধী অধ্যক্ষকে বিহারের ‘এসআইআর’ প্রসঙ্গে বিশেষ আলোচনার অনুমতির জন্য চিঠি লিখেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘বহু মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার আশম্কা রয়েছে। অবাধ ও স্বচ্ছ ভোট প্রক্রিয়া হবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে বিধানসভা ভোট ঘিরে।
SIR Bihar Draft
খসড়া প্রকাশের পরও অস্বচ্ছ বিহারের ‘এসআইআর’, অধ্যক্ষকে চিঠি রাহুলের

×
Comments :0