মূর্তি নদীতে হাতির স্নান থেকে শুরু করে সেলফি জোনে নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়িয়ে কুনকির সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ— পর্যটনের মরশুমে গোরুমারায় এই ব্যবস্থা রাখছে বন দপ্তর।
শুধু তাই নয়, হাতির ‘পাঠশালা’ ঘুরিয়ে দেখানো হবে পর্যটকদের। হস্তিশাবক কিভাবে কুনকি হয়ে ওঠে, প্রশিক্ষণে বনকর্মীরা কিভাবে সংযোগ করেন, কিংবা পিলখানায় ফেরার পর কুনকিদের সাজিয়ে তোলার খুঁটিনাটি— সবটাই এবার দেখা যাবে এই ট্যুর প্যাকেজে।
ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন জানান, “হাতিকে কেন্দ্র করেই আমরা পুজোর প্যাকেজ সাজাচ্ছি। চাইছি, পর্যটকরা শুধু হাতি-সাফারিতে সীমাবদ্ধ না থেকে হাতির সঙ্গে সময় কাটান, তাদের বোঝার চেষ্টা করুন। এতে যেমন বন্যপ্রাণ রক্ষার বার্তা পৌঁছাবে, তেমনই মানুষ-হাতি সংঘাত রুখতেও সচেতনতা তৈরি হবে।”
তবে এখানেই শেষ নয়। লাটাগুড়ির বিচাভাঙা বনবস্তিতে প্রতি বছরের মতো এবারও হবে শারদীয়া উৎসবের আয়োজন করা হবে। কিন্তু এবারে আবহ অন্যরকম— মাদলের তালে উৎসবের সুচনা, শালপাতায় ভোগ খাওয়ার অভিজ্ঞতা, বনবাসীর শারদীয়া উৎসবের আমেজ। গোরুমারায় আসা পর্যটকরা চাইলে এই আয়োজনেও শামিল হতে পারবেন।
অতিথিদের জন্য প্রকৃতি, উৎসব আর হাতি— তিনের মেলবন্ধনে সাজছে এবারের গোরুমারা। বনকর্মীদের আশা, এই অভিনব উদ্যোগ শুধু পর্যটকের মন জয় করবে না, হাতি সংরক্ষণে এক নতুন বার্তাও পৌঁছে দেবে!
উল্লেখ্য, গোরুমারা বনবিভাগের হাতে রয়েছে ২৫টির মতন কুনকি হাতি। বন দপ্তরের পর্যটক টানার উদ্যোগ আসলে কুনকি হাতি পোষার খরচ মেটানোর উদ্যোগ বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।
Elephant Tourism
খরচ তুলতে হাতি নিয়েই পর্যটনের বিশেষ প্যাকেজ গোরুমারায়

×
Comments :0