Flood in North India

পাঞ্জাবে মৃত ৩৭, ভাসছে ১,৬৫৫টি গ্রাম, বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর ভারত

জাতীয়

উত্তর ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলছে গত সাতদিন ধরে।  হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব , উত্তরাখণ্ড , জম্মু ও কাশ্মীর এবং দিল্লিসহ বেশ কিছু অঞ্চলে তীব্র বৃষ্টিপাত ও বন্যার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বহু মানুষের মৃত্যু ঘটেছে , এছাড়াও বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়ে আশ্রয় নিয়েছে রিলিফ আশ্রয় শিবিরে। 
পাঞ্জাবে টানা বৃষ্টির জেরে বিপর্যয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৭ জন। মোট ১ হাজার ৬৫৫টি গ্রাম বন্যায় ভাসছে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। গুরুদাসপুরে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে। ৩২৪টি গ্রাম ভেসেছে এই জেলাতেই। এরপরই রয়েছে ফিরোজপুর, অমৃতসর, হোসিয়ারপুর, কাপুরথালা, সাংগ্রুর জেলা। প্রায় ২ লক্ষ হেক্টর জমি জলের তলায়। 
তীব্র বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যার সম্মুখীন হচ্ছে দিল্লির, জানা গেছে বিপদসীমা ছাড়িয়ে যমুনার জল ২০৭.৪৮ মিটার উচ্চতায়।  ওল্ড রেল ব্রিজ অঞ্চলে যমুনার জল এই মাত্রায় বেড়ে যাওয়ার ফলে ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। 
ময়ূর বিহারে আশ্রয় শিবির তৈরি করা হয়েছিল। সেই আশ্রয় শিবিরও ভেসে গিয়েছে। মানুষজন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। গোটা দিল্লিজুড়ে বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। 
এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েই রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা জানিয়েছেন যে বন্যায় বিপন্ন সব অঞ্চল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বাসিন্দাদের। 
ঝিলাম নদীর জল বেড়ে বিপন্ন বহু মানুষ। ঝিলমের পারের জুনিপোরা, বাদগামের মতো এলাকা প্রায় ভেসে গিয়েছে। বাদগামের পাশাপাশি অনন্তনাগেও উদ্ধার কাজ চলছে। 
পাঞ্জাবের পাশাপাশি হরিয়ানাও ভেসেছে। পাঞ্জাবের মোহালি, পাতিয়ালা, গুরুদাসপুর, লুধিয়ানায় বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের থেকে বেশি। 
পাঞ্জাবের কাপুরথালায় একটি সংস্থা রেলের যন্ত্রাংশ তৈরির সংস্থা এখন বিশেষ নৌকা বানাচ্ছে। বহু জায়গায় নৌকাই দরকার এখন রাজ্যে।
হরিয়ানার পাঁচকুলা, কারনাল, হিসার, আম্বালা, রোহতকেও জনজীবন বিপর্যস্ত টানা বৃষ্টিতে। 
টানা বৃষ্টির জেরে বৃহস্পতিবার সকালে ধস নেমেছে হিমাচলপ্রদেশের কুলুর আখড়া বাজার এলাকায়। এই ধসের জেরে একজনের মৃত্যু ঘটেছে  এবং আহত বেশ কয়েকজন । বহু মানুষ ধ্বংস্তূপের তলায় আটকে রয়েছে, উদ্ধারকাজ এখনও চলছে।   

Comments :0

Login to leave a comment